বিজিবি-শ্রমিক সংঘর্ষ শ্রীমঙ্গলে; আহত ৮
প্রতিনিধি:
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষে আটজন গুলিবিদ্ধসহ প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছে। এ সময় প্রায় ১০০ গাড়ি ও ৫০টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করা হয়।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘণ্টাব্যাপী ওই সংঘর্ষ চলার সময়ে ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়ক ও শ্রীমঙ্গল-কমলগঞ্জ সড়ক দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যা ৬টার দিকে শ্রীমঙ্গল শহরের ভানুগাছ রোডে গাড়ি রাখা (পার্কিং) নিয়ে এক বিজিবির সদস্যের সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের বাগবিতণ্ডা হয়। এ সময় স্থানীয় এক পরিবহন শ্রমিক ওই বিজিবি সদস্যকে লাঞ্ছিত করেন। এ খবর বিজিবির শ্রীমঙ্গল সদর দপ্তরে পৌঁছালে বিজিবি সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে স্থানীয় ব্যবসায়ী, পরিবহন শ্রমিক ও সাধারণ মানুষকে মারধর করেন। পরে পরিবহন শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা বিজিবি সদস্যদের ওপর পাল্টা হামলা চালালে সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। এ সময় বিজিবি সদস্যরা বেশ কয়েকটি গুলি ছুড়ে এবং ব্যাপক ভাঙচুর করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদে রাতে ব্যবসায়ীরা শ্রীমঙ্গল চৌমুহনী চত্বরে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছে, ঘটনার সময় বিজিবি সদস্যরা রাস্তাঘাট, এমনকি দোকানপাট বা বাড়িঘরে আশ্রয় নেওয়া সাধারণ মানুষকে বেধড়ক লাঠিপেটা করে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ, র্যাব ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণে আনেন।
মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) পলাশ রায় জানান, গুলিবিদ্ধ হয়ে আটজন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে চারজনকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিরা হলো শ্রীমঙ্গল শহরের শাপলা আবাসিক এলাকার পবিত্র পাল (৩০) ও সুকুমার দাশ (৫০), শ্রীমঙ্গলের নতুনবাজার এলাকার শাহ আলম (৩০), মো. ইকবাল মিয়া (২০), শাহ আলম (৩২), মিনাক্ষী পাল (৩৫), কামাল মিয়া (৩২) ও সুনানন্দ দাশ (৪৭)। আহত অন্যদের শ্রীমঙ্গল ও মৌলভীবাজার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনার পর জেলা প্রশাসক মো. তোফায়েল ইসলাম ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহজালাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ