ইতিহাস ও ঐতিহ্যের স্বাক্ষী টাকার যাদুঘর

প্রকাশঃ জানুয়ারি ৮, ২০১৭ সময়ঃ ৮:১৩ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৮:১৩ অপরাহ্ণ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

taka-02 বাংলাদেশ ও বিশ্বের মুদ্রা ইতিহাস সংরক্ষণ, মুদ্রার ঐতিহ্য ও বিকাশকে সাধারণের মাঝে তুলে ধরার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে রাজধানীর মিরপুরে ২০১৩ সালের এপ্রিল মাসে উদ্বোধন করা হয় টাকার যাদুঘর। দুটি গ্যালারির সমন্বয়ে সাজানো এই জাদুঘরের প্রথম গ্যালারিতে দেখা যাবে বিভিন্ন আমলের মুদ্রা আর কাগজের নোট।

প্রদর্শিত মুদ্রাগুলোর মধ্যে রয়েছে ভারতীয় উপমহাদেশের প্রাচীনতম ছাপাঙ্কিত রৌপ্য মুদ্রা। কাচে ঘেরা বাক্সে রয়েছে কুষাণ মুদ্রা, হরিকেল মুদ্রা, দিল্লি ও বাংলার সুলতানদের মুদ্রা, মোগল ও ব্রিটিশ শাসকদের মুদ্রাসহ আধুনিক কালের মুদ্রাসম্ভার।

অতীতকাল থেকে উনিশ শতক পর্যন্ত মুদ্রা হিসেবে বাংলার ছোট ছোট লেনদেনে কড়ি ব্যবহৃত হয়ে এসেছে। প্রদর্শনীতে রয়েছে কড়ির কিছু নমুনা। এই কড়িগুলো ব্যাবহারের সময়কাল, বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহ, সবই জানা যাবে জাদুঘরে থাকা তথ্য বিবরণীতে।

taka-04গ্যালারি ২-এর বড় আকর্ষণ হচ্ছে বর্তমান সময়ের প্রায় ১৫০টি দেশের কাগুজে, পলিমার, হাইব্রিড নোট ও ধাতব মুদ্রা। বিশ্বের বিলুপ্ত দেশ যেমন চেকোস্লোভাকিয়া, যুগোস্লাভিয়া, ট্রান্সনেশিয়াসহ আরও কিছু দেশের কাগুজে নোট ও ধাতব মুদ্রা প্রদর্শনীতে রাখা হয়েছে এই গ্যালারিতে ।

এখানে সংরক্ষিত ও প্রদর্শিত বিভিন্ন মুদ্রা, কয়েন, নোটের কিছু দেশ-বিদেশ থেকে সংগ্রহ ও কেনা হয়েছে। বাকিটা পাওয়া গেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংগ্রহাগার ও বিভিন্ন জনের ব্যক্তিগত সংগ্রহশালা থেকে। কারো কাছে প্রাচীন বা দুর্লভ মুদ্রা থাকলে তা জমা দেয়ার সুযোগও রয়েছে বলে জানান কিউরেটর মো. রেজাউল করিম।

এখানে আরও রয়েছে ফটো কিয়স্ক। এতে এক লাখ টাকার প্রতীকী নোটে ছাপিয়ে নেয়া যাবে নিজের ছবি।

যেখানে এক লাখ টাকার স্মারক মুদ্রায় নিজেদের ছবি সংযোজন করে ছাপিয়ে নিতে পারেন দর্শনার্থীরা। জাদুঘরে বিভিন্ন উন্নয়ন ও সুযোগ সুবিধা বাড়ানোসহ সংগ্রহে থাকা মুদ্রা ও নোট দীর্ঘমেয়াদে সংরক্ষণের জন্য একটি বিশেষ গবেষণাগার নির্মাণের পরিকল্পনার কথাও জানালেন ডিপার্টমেন্ট অব কারেন্সি ম্যানেজমেন্টের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. ইসমাইল।

জাদুঘরটি দেখতে প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে আসছে শিশুরা। বিনোদনের পাশাপাশি শিক্ষণীয় বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ধারণা পাচ্ছে তারা। এখানে আগত কয়েকজন ক্ষুদে শিক্ষার্থী জানায়,
‘‘ এখানে এসে আগের দিনের অনেক টাকা, মুদ্রা দেখেছি।’’
‘‘ আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এক লাখ টাকার নোটে নিজের ছবি ছাপিয়েছি।’’

বৃহস্পতিবার বাদে প্রতিদিনই খোলা থাকে টাকার যাদুঘর।

প্রতিক্ষণ/এডি/এস.আর.এস

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G