মেয়র আইভীর নগর ভবনে পদার্পণ
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী সিটি করপোরেশনে নিজ কার্যালয়ে কাজ শুরু করেন।
সোমবার মেয়র হিসেবে দ্বিতীয়বারের মতো দায়িত্ব গ্রহণ করেন সেলিনা হায়াৎ আইভী।
এ নিয়ে সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। দেওভোগে আইভীর বাসার সামনে ছিল শত শত মানুষের ভিড়। সবাই অপেক্ষা করতে থাকে আইভীর জন্য।
সকাল সাড়ে ১০টায় পায়ে হেঁটেই নগর ভবনের দিকে রওনা দেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে চলতে থাকেন শত শত মানুষ। সোয়া ১১টার দিকে নগর ভবনে পৌঁছান তিনি।
নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রতি আবারও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। অঙ্গীকার করেন, উন্নয়ন অব্যাহত রাখবেন। সন্ত্রাসমুক্ত নগর ভবন ও শীতলক্ষ্যা সেতু নির্মাণ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন মেয়র আইভী।
বক্তব্য শেষে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি রক্তচক্ষুর পরোয়া না করে পাঁচ বছর জনগণের জন্য শুধু কাজ করে যাব। বোট খাল উন্মুক্ত করে শীতলক্ষ্যা ও বুড়িগঙ্গার সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করে দেব। পার্ক ও খেলার মাঠ নির্মাণ করব।’ এ ছাড়া ২৭টি ওয়ার্ড সরেজমিনে দেখে নাগরিক সমস্যা দূর করার কথাও বলেন মেয়র আইভী।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি নারায়ণগঞ্জবাসীর কাছে কৃতজ্ঞ। আমি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাঁদের সেবা করতে চাই। এ সুযোগটা যেন তাঁরা আমাকে দেন। নারায়ণগঞ্জকে একটি পরিকল্পিত, পরিচ্ছন্ন, খেলাধুলার মাঠ সমৃদ্ধ একটি নগর করতে চাই। তিনটা ওয়ার্ডের মাঝখানে যেন একটি করে খেলার মাঠ থাকে। প্রতিটি খালকে উদ্ধার করতে চাইছি। এ কাজগুলো আমরা আগেই করেছি। এখন চলমান কাজগুলো আমরা শেষ করতে চাচ্ছি। আমি আমার এ নিরপেক্ষতা এ সিটি করপোরেশনে বজায় রাখব আমার চলে যাওয়ার শেষদিনটি পর্যন্ত। নগরবাসীকে আশ্বস্ত করে বলতে চাই, এ নগর আগে যেমন দলীয় প্রভাবমুক্ত ও দুর্নীতিমুক্ত ছিল, আগামী পাঁচ বছরেও ইনশাল্লাহ সাধারণ মানুষকে পাশে নিয়ে দুর্নীতিমুক্ত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন গড়তে চাই। আমার পরিচয় আমি আওয়ামী লীগ, কিন্তু আমি দলের ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করব।’
২০১১ সালের ৫ মে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন গঠিত হয়। ২০১১ সালে নগরের প্রথম সিটি নির্বাচনে জয়ী হন সেলিনা হায়াৎ আইভী। তিনি বাংলাদেশের প্রথম নারী সিটি মেয়র। গত ২২ ডিসেম্বর সিটি নির্বাচনে জয়ী হয়ে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। গত ৫ জানুয়ারি গণভবনে আইভীকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ