ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে স্থগিতাদেশ বহাল আদালতের
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জারি করা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার ওপর স্থগিতাদেশ বহাল রেখেছেন দেশটির আপিল আদালত।
ট্রাম্প প্রশাসনের করা একটি আপিলে আদালতের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানানো হয়। বিচারকাজে অংশ নেন তিনজন বিচারপতি। তাঁরা সবাই স্থগিতাদেশের পক্ষে অবস্থান নেন।
স্থগিতাদেশ বহাল রেখে যুক্তরাষ্ট্রের আদালত জানিয়েছেন, নিম্ন আদালতের জারি করা আদেশ রদ করবেন না তারা।
তবে আদালতের ঐ সিদ্ধান্তে চটেছেন ট্রাম্প। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম টুইটারে তিনি বলেন, জাতীয় নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যে ছিল। এর ফলে আরও প্রতিকূল অবস্থা তৈরি হলো।
এর আগে সাত মুসলিম দেশের নাগরিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জারি করা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার সমর্থন জানায় দেশটির জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট।
আদালতের জারি করা স্থগিতাদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আপিল করা হয়েছে জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে।
ডিপার্টমেন্টের পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা হয়, সাতটি দেশের নাগরিকদের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি প্রেসিডেন্টের এখতিয়ারভুক্ত। এটি মুসলিমদের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা নয়।
ওয়াশিংটনের সিয়াটল শহর আদালতের বিচারক জেমস রবার্ট সাত মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ট্রাম্পের দেওয়া নির্বাহী আদেশ স্থগিত করেন।
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বৈধ ভিসাধারী অভিবাসী ও শরণার্থীদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ সাময়িক স্থগিত করেন দেশটির আরেকটি আদালত।
ক্ষমতায় বসার পরপরই সাতটি মুসলিম দেশ ও শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ঐ সাতটি দেশ হলো সিরিয়া, ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেন।
এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইসলামী জঙ্গিদের দূরে রাখার জন্য এটি একটি পদক্ষেপ। আমরা তাদের এখানে চাই না।’
‘যারা আমাদের সেনাদের জন্য হুমকি, তাদের আমরা নিতে পারি না। আমরা তাদেরই নেব, যারা আমাদের দেশ ও দেশের মানুষকে গভীরভাবে ভালোবাসে।’
প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ