চার বছরের কারাদণ্ড শশিকলার
আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন সম্পত্তি রাখার মামলায় তামিলনাড়ুর ক্ষমতাসীন দল এআইএডিএমকে নেত্রী শশিকলাকে ৪ বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন ভারতের সুপ্রিমকোর্ট। বিচারপতি অমিতাভ রায় ও বিচারপতি পিনাকীচন্দ্র ঘোষের ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে শশিকলার আগামী ১০ বছরের মধ্যে মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পথ বন্ধ হয়ে গেল। কারণ ৪ বছরের কারাদণ্ডের পরে ৬ বছর তিনি কোনও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না।
জয়ললিতার মৃত্যুর পরে তাঁর জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন জয়া ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী ও পনীরসেলভম। কিন্তু মাস খানেকের মধ্যেই প্রথমে এআইএডিএমকে-এর সাধারণ সম্পাদক হন জয়ার ছায়াসঙ্গী শশিকলা। তার পরেই নির্বাচিত না সত্বেও এবং কোনও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতাহীন শশিকলা মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার চেষ্টা করেন। অভিযোগ ওঠে শশিকলার চাপেই মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন পনীরসেলভম।
২০১৪ সালে কর্ণাটকের বিশেষ আদালত শশিকলা ও জয়ললিতাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। নিম্ন আদালত শশিকলাকে ৪ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ কোটি টাকার জরিমানাও করেছিল। জয়ললিতাকেও চার বছরের জন্য কারাদণ্ড দিয়েছিল ও ১০০ কোটি টাকা জরিমানাও করা হয়েছিল। তার পরে সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করায় ২০১৫ সালের ১১ মে কর্ণাটক হাইকোর্ট সেই রায় খারিজ করে জয়ললিতা ও শশিকলাকে মুক্তি দিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের রায় খারিজ করে দিয়ে বিশেষ আদালতের রায় বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু জয়ললিতা মারা যাওয়াতে তাঁর শাস্তির আর প্রশ্ন নেই।
প্রতিক্ষণ/এডি/নাজমুল