বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ শিক্ষককে যুক্তরাষ্ট্র প্রবেশে বাধা

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৭ সময়ঃ ১:০২ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১:০৪ অপরাহ্ণ

 

Juhelবাংলাদেশি বংশোদ্ভুতি ব্রিটিশ নাগরিক ও যুক্তরাজ্যে ওয়েলসের একটি বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক জুহেল মিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রে যেতে দেওয়া হয়নি। বৈধ ভিসা ও কাগজপত্র থাকা সত্বেও কোনো কারণ ব্যাখ্যা না করেই বিমান থেকে নামিয়ে দেয়া হয়েছে তাকে।

জুহেলকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগদাতা নিথ পোর্ট টালবোট কাউন্সিল লন্ডনের মার্কিন দূতাবাসের কাছে এই ঘটনায় ব্যাখ্যা দাবি করে বলেছে, জুহেল মিয়ার প্রতি যে আচরণ করা হয়েছে এতে তারা বিস্মিত। কাউন্সিলের একজন মুখপাত্র ঘটনাটিকে অন্যায় এবং বৈষম্যমূলক উল্লেখ করে বলেন, জুহেল মিয়া একজন ব্রিটিশ নাগরিক, এ ছাড়া ভিন্ন কোনো দেশের নাগরিকত্ব তাঁর নেই।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশি পরিবারের সন্তান জুহেল মিয়ার জন্ম ওয়েলসের সোয়ানিসতে। তিনি ওয়েলসের নেথ পোর্ট টালবোট এলাকার ল্যানগেটগ কম্প্রিহেনসিভ স্কুলের শিক্ষক। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে তিনি আইসল্যান্ডে শিক্ষা ভ্রমণে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে তাঁদের নিউইয়র্কে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে ছাড়াই বাকীরা যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।

জুহেল মিয়া বিবিসিকে বলেন, বিমানবন্দরে চেক ইন করার সময় তাঁর পাসপোর্ট দেখেই বলা হয় যে, তাঁকে নিরাপত্তার স্বার্থে তল্লাশি করা হবে। এরপর আলাদা একটি কক্ষে নিয়ে তাঁর জিনিসপত্র ও পুরো শরীর তল্লাশি করা হয়। প্রায় পাঁচ মিনিট ধরে চলে ওই তল্লাশি। এরপর তাঁকে বিমানে ওঠার অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর তিনি শিক্ষার্থী ও সহকর্মীদের নিয়ে বিমানে ওঠেন। বিমান ওড়ার কিছুক্ষণ আগে কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী গিয়ে তাঁকে বিমান থেকে নামিয়ে আনে। তাঁকে শুধু বলা হয়, তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যেতে পারবেন না।

জুহেল আরও বলেন, ‘যখন আমি কেবিন থেকে আমার ব্যাগ নিচ্ছিলাম, তখন সবাই আমার দিকে তাকিয়ে ছিল। পুরো বিমানে সুনসান নীরবতা। সঙ্গে থাকা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও বুঝতে পারছিল না কি করবে। মনে হয়েছিল আমি যেন একজন সন্ত্রাসী।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, জুহেলকে বিমান থেকে নামিয়ে আনার পর দুই ঘণ্টা তাঁকে একটি হোটেলে রাখা হয়। এরপর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আইসল্যান্ডে অবস্থিত যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকেও কোনো সাহায্য পাননি তিনি। অবশেষে পরদিন তিনি যুক্তরাজ্যে ফিরে যান।

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ২৭ জানুয়ারি এক বিতর্কিত নির্বাহী আদেশে সাতটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশের নাগরিকদের তাঁর দেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেন। ১০ ফেব্রুয়ারি মার্কিন আদালতে ওই নিষেধাজ্ঞা স্থগিত হয়ে যায়। এ ছাড়া সাতটি দেশের তালিকায় বাংলাদেশের নাম ছিল না।

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G