শারমিন আকতার:
দুদিন ধরে প্রচন্ড মাথাব্যথায় অস্থির হয়ে আছেন। এ্যালোপেথিক ঔষধ খেতে খেতে বিরক্ত হয়ে গেছেন। কী করবেন তাও বুঝতে পারছেন না। বিকল্প পদ্ধতি খুঁজে বেড়াচ্ছেন। অবশ্যই তা প্রকৃতি সংশ্লিষ্ট কিছু। এমন সময় হঠাৎ মনে হল রিল্যাক্সিং মিউজিকের কথা।
ইউটিউবে সার্চ দিয়ে অনেকগুলোর মধ্যে পছন্দসই একটা খুঁজে পেলেন; যার নাম ব্যাম্বু ফ্লুট (বাঁশের বাঁশি) মেডিটেশন হিলিং স্লিপ জেন পিচ। শুনতে শুরু করলেন মন দিয়ে। সাথে শুনছে কিচিরমিচির শব্দে ঘর মাতিয়ে বেড়ানো আপনার আদুরে নানান রূপের পাখিগুলোও। মুহূর্তেই নিস্তব্দ ঘর নির্জন চারিধার। যেন কেউ আপনার ঘরে একটি পিয়ানো , একটি বাঁশের বাশি নিয়ে ঢুকে পড়লো আপনারই অজান্তে।
চোখ বন্ধ করলেই দেখতে পাচ্ছেন সবুজ প্রকৃতি অনুভব করছেন তার নরম ছোঁয়া, তার বুনো ঘ্রাণ নাকে এসে লাগছে। সামনে কোলাহলহীন শান্ত দিঘি। একটি কাঠের ঘরের সিঁড়িওয়ালা উঠোনে আনমনে বসে আছেন। এখানে শুধু আপনি আর প্রকৃতির নিশ্চুপ নিরবতা। হয়তো মাঝে উঁকি দেয় ছেলেবেলাকার দাপিয়ে বেড়ানো মুহূর্তের স্মৃতি। শুনতে পান পুকুরে ঝুপ করে ঝাঁপ দেওয়া সে মধুর শব্দ।
যে রাজ্যে হারিয়ে গেছেন সেখানে নেই কোনো ব্যথা, অশান্তি, দু:চিন্তা। একসময় অনুভব করলেন আপনার এ কয়দিনের বিরক্তিকর প্রচন্ড ঝিনঝিন মাথাব্যথা আর নেই। একটু নিরবতা, শহুরে ব্যস্ততায় কৃত্রিম প্রাকৃতিক আবহ যদি আপনাকে ব্যথামুক্ত মনের প্রশস্তি এনে দিতে পারে তবে কেন নেবেন না সে সুযোগ। এ্কগাদা এ্যালোপ্যাথিক ঔষুধের হাত থেকেতো বাঁচলেন; সাথে অসংখ্য রোগ থেকেও।
প্রশান্তির মিউজিক: