মিরাজুন্নবী স. এর তাৎপর্য ও শিক্ষা
মাওলানা আহমাদ মুঈনুদ্দীন খন্দকার:
নবুয়তের দ্বাদশ বছরের ঘটনা। রাসূল স: তাঁর নবুয়তি জিন্দেগীর সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছিলেন। শুরু থেকেই মক্কার কাফির-মুশরিকদের ক্রমাগত বিরোধিতা, শত্রুতা, জুলুম-নির্যাতন আর অমানবিক আচরণে রাসূল স: এক অকল্পনীয় কষ্ট নিয়ে দিনাতিপাত করছিলেন। যা নবুয়তের দ্বাদশ বছরে এসে চরম রূপ লাভ করেছিল। হযরত বেলাল রা.কে প্রখর রৌদ্রে উত্তপ্ত বালুর উপরে শুঁইয়ে বুকে পাথর চাপা দিয়ে শাস্তি। হযরত খাব্বাব রা. কে জলন্ত অঙ্গারের উপর চিৎ করে শুঁইয়ে নির্যাতন। হযরত আম্মার ইবনে ইয়াসার রা.এর পরিবারের উপর অকথ্য নির্যাতনসহ রাসুল স. এর কলিজার টুকরা সঙ্গী-সাথীদের উপর নিত্য নতুন নির্যাতনের খবর তাঁর কোমল হৃদয়টাকে ভেঙ্গে চূরমার করে দিচ্ছিল। এর সাথে যোগ হল, তাঁর প্রাণপ্রিয় সহধর্মিনী হযরত খাদিজাতুল কোবরা রা. এর ইন্তেকাল যিনি তাঁর এ নবুয়তি মিশনকে সফল করার জন্য তাঁর অঢেল সম্পদসহ সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়েছিলেন। চলে গেলেন তাঁর একমাত্র আশ্রয়দাতা চাচা আবু তালিব। যাকে তাঁর নবুয়তি মিশনে পেয়েছিলেন বটবৃক্ষের ছায়ার মত। যার ভয়ে কোরাইশরা তাঁর উপর বাড়াবাড়ি করার সাহস পেত না। ঘরের শান্তনা আর বাহিরের আশ্রয় হারিয়ে রাসূলে আকরাম স. যখন একদম অসহায়, তখন অনেক আশা নিয়ে গেলেন মক্কা থেকে সত্তর মাইল দূরে তায়েফ বাসীদের নিকট দীনের দাওয়াত নিয়ে। আশা করেছিলেন তায়েফবাসীরা তাঁর ডাকে সাড়া দিবে। কিন্তু না। তায়েফবাসীরা তাঁর দাওয়াতে সাড়া তো দিলোই না; বরং তারা নবীর সাথে চরম দুর্ব্যবহার করল। পাথরের আঘাতে তাঁকে রক্তাত্ব করে দিল। আল্লাহর হাবিবের পবিত্র রক্তে তায়েফের মাটি লাল হয়ে গেল। হতাশ হয়ে নবী ফিরে এসে আশ্রয় নিলেন মক্কার সরদার, মুতঈম ইবনে আদীর ঘরে। তায়েফ বাসীদের আচরণে রাসূল স. খুবই কষ্ট পেয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে রসূল স. যে দোয়া করেছিলেন, তাকে দুয়ায়ে মুসতাদয়াফীন (دعاء المستضعفين) বলা হয়। যাতে সে সময়কার তার মানসিক অবস্থার চিত্র সহজেই ফুটে উঠেছে-
اللهم إليك أشكو ضعف قوتي وقلة حيلتي وهواني على الناس يا أرحم الراحمين أنت أرحم الراحمين وأنت رب المستضعفين، وأنت ربي إلى من تكلني ؟ إلى عدو يتجهمني أم إلى صديق قريب ملكته أمري، إن لم يكن بك غضب علي فلا أبالي غير أن عافيتك أوسع لي، أعوذ بنور وجهك الذي أشرقت له الظلمات وصلح عليه أمر الدنيا والآخرة أن ينزل بي غضبك أو يحل بي سخطك، ولك العتبى حتى ترضى ولا حول ولا قوة إلا بك
(তাফসিরে ইবনে কাসির,খ.৪ পৃ.১৯৮)
হে আল্লাহ তায়ালা! আমি তোমার কাছে আমার দুর্বলতা, অসহায়ত্ব এবং মানুষের কাছে আমার মূল্যহীনতা সম্পর্কে অভিযোগ করছি। দয়ালু- দাতা, তুমি দুর্বলদের প্রভু, তুমি আমারও প্রভু, তুমি আমাকে কার কাছে ন্যস্ত করেছ? আমাকে কি এমন অচেনা কারো হাতে ন্যস্ত করছো যে আমার সাথে রুক্ষ ব্যবহার করবে, নাকি কোন শত্রুর হাতে ন্যস্ত করছো, যাকে তুমি আমার বিষয়ের মালিক করে দিয়েছো? যদি তুমি আমার ওপর অসন্তুষ্ট না হও, তবে আমার কোন দুঃখ নেই, আফসোসও নেই, তোমার ক্ষমাশীলতা আমার জন্য প্রশস্ত ও প্রসারিত কর, আমি তোমার সত্তার সেই আলোর আশ্রয় চাই, যা দ্বারা অন্ধকার দূর হয়ে, আলোয় চারিদিক ভরে যায়, দুনিয়া ও আখিরাতের সকল বিষয় তোমার হাতে ন্যস্ত। তুমি আমার উপর অভিশাপ নাযিল করবে বা ধমকাবে, যে অবস্থায় তোমার সন্তুষ্টি কামনা করি। সকল ক্ষমতা ও শক্তি শুধু তোমারই। তোমার শক্তি ছাড়া কারো কোনো শক্তি নেই।
ইসলামের ইতিহাসে এ বছরকে ‘আমুল হুযন’ বা দু:খের বছর হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়। আল্লাহ তায়ালাও তার হাবিবের মানসিক অবস্থাকে বিবেচনা করে, এমন শান্তনার ব্যবস্থা করলেন; যাতে তার সমস্ত দু:খ-কষ্ট, বেদনা-যন্ত্রনা উঁবে গেল। ভূ-মন্ডল, নভোমন্ডল ভেদ করে, সপ্ত আসমান পাড়ি দিয়ে, সত্তর হাজার নূরের পর্দা অতিক্রম করে, একদম আরশে আযীমে ডেকে নিয়ে, হাবিবের সাথে একান্ত আলাপ করলেন। বুঝিয়ে দিলেন, দুনিয়ার মানুষ আপনাকে না চিনতে পারে; কিন্তু আমি আপনাকে চিনি। দুনিয়ার অবুঝরা আপনাকে মূল্যায়ন না করতে পারে; কিন্তু আপনার মর্যাদা আমার কাছে সবার থেকে অনেক বেশী। আর এটাই হলো রাসূল স.এর মিরাজের প্রধান উদ্দেশ্য। এ ছাড়াও রাসূল স. এর মিরাজে রয়েছে উম্মতের জন্য অপূর্ব শিক্ষার সমন্বয়। নিম্নে এ বিষয়ে আলোকপাত করা হলো-
মসজিদের গুরুত্বকে মানুষের মনে প্রোথিত করা; কেননা, আল্লাহ তায়ালা তার হাবিবের মিরাজকে শুরু করিয়েছিলেন মসজিদ থেকে। আবার শেষ হয়েছে মসজিদে। এর মাধ্যমে একথাই প্রমাণিত হয় যে, মসজিদই হচ্ছে মুসলমানদের জাগতিক ও পরলৌকিক জীবনের কেন্দ্রবিন্দু। এখানে সব জাতি আর বর্ণ একাকার হয়ে যায়। জানান দেয় বিশ্বজনীন ভ্রাতৃত্বের।
বায়তুল মাকদাসে সমস্ত পয়গম্বরকে পিছনে নিয়ে রাসূল স.এর ইমামতির অনেকগুলো উদ্দেশ্য রয়েছে-
ক. রাসূল স. এর নবুয়তের সার্বজনীনতা প্রকাশ: তথা সকল নবী-রাসূল যখন তাকে কেন্দ্র করে উপস্থিত হলেন; তখন বুঝা গেল, এতদিন নবী-রাসূলগণ যে দাওয়াত দিয়েছেন তাদের সকলের দাওয়াতি কার্যক্রমের দায়িত্ব এখন তাঁর উপর ন্যাস্ত হয়েছে।
খ. সকল পয়গম্বরদের সমর্থন আদায়: কাফির মুশরিকরা আপনার বিরোধিতা করলেও; সকল নবী-রাসূল এবং আল্লাহ তায়ালার প্রিয় বান্দারা আপনার আনুগত্যকে সৌভাগ্য মনে করে।
গ. সকল নবী রাসূলের উপর তাকে শ্রেষ্টত্ব দান: তথা সমস্ত পয়গাম্বর তাঁর ইমামতিতে সালাত আদায় করে তাকে ইমামুল মুরসালিন হিসেবে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।
ঘ. অদৃশ্য জগতের বাস্তবতাকে বুঝিয়ে দেওয়া: মানুষ এবং জীনজাতির জন্য দুটি জীবনের প্রতিশ্রুতি রয়েছে- একটি দুনিয়া ও অপরটি আখিরাত বা পরকাল। পরকালকে আমরা অদৃশ্য জগত বলি। যেহেতু এ জগত দেখা যায়না বা উপলব্দি করা যায় না; তাই এর বাস্তবতা নিয়েও অনেকে সন্দেহ পোষণ করে থাকে। যাদেরকে আমরা জড়বাদী বা বস্তুবাদী বলে থাকি। তাই আল্লাহ সকল মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে তাঁর হাবিবকে নিয়ে এর বাস্তবতাকে দেখিয়ে দিলেন। জান্নাতের সুখ-শান্তি যে কত অফুরন্ত। আর জাহান্নামের আযাব গযব যে কত ভয়াবহ তা তিনি চাক্ষুস প্রত্যক্ষ করলেন।
নামাজ সর্বশ্রেষ্ঠ ইবাদত: আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মিরাজে তার হাবিবকে যতগুলো হাদিয়া দিয়েছেন, তার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হলো নামাজ। ইচ্ছা করলে শরিয়তের অন্যান্য বিধানের মত ফিরিশতার মাধ্যমে ওহী পাঠিয়েও নামাজ ফরয করতে পারতেন। কিন্তু আরশে আযীমে ডেকে নেওয়া, পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত ফরয করা, আবার তার থেকে কমিয়ে পাঁচ ওয়াক্তের হুকুম দেয়া, আবার তাতে পঞ্চাশ ওয়াক্তেরই সওয়াব দানের প্রতিশ্রুতি দেয়া এ সবগুলোই সালাতের গুরুত্ব প্রকাশের জন্য। আর এ জন্যই রাসূল স. ঘোষণা দিয়েছেন-
الصلاة معراج المومنين
অর্থ্যাৎ সালাত মুমিনদের জন্য মিরাজ স্বরূপ।
সত্যের বিজয় অবসম্ভাবী, এ কথা বুঝিয়ে দেয়ার জন্যই আল্লাহ তায়ালা তাঁর হাবিবকে নিজের কাছে ডেকে নিয়েছেন। কেননা, রাসূল স. তার দুই প্রিয় পাত্রকে হারিয়ে, মক্কা থেকে কুরাইশদের কর্তৃক বিতারিত হয়ে যখন একদম অসহায়; তখনই আল্লাহ তায়ালা তাকে সান্তনা দেয়ার জন্য কোন ফিরিশতার মাধ্যম নেননি; বরং নিজে তাকে সান্তনা দেয়ার ব্যবস্থা করেছেন, যাতে তার হাবিবের হৃদয়ে কোন ব্যথা না থাকে।
মহান কুদরতের অপূর্ব নিদর্শন, বিস্ময়কর সৃষ্টির তত্বজ্ঞান লাভ, খোদায়ী শক্তির বিস্তৃতির মহাবিস্ময় স্বচক্ষে দেখানোও ছিল তার মিরাজের বিশেষ উদ্দেশ্য। যাতে তার কাছে এ বিষয় স্পষ্ট হয়ে যায় যে, এ দুনিয়ার সবকিছুকেই তার প্রবল ক্ষমতা বেষ্টন করে আছে। কোন সৃষ্টির পক্ষেই তার নির্বাহী ক্ষমতার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।
لِنُرِيَهُمِنْآ يَاتِنَ
যাতে আমি তাকে আমার কুদরতের নিদর্শনগুলো দেখিয়ে দেই (সূরা ইসরা, আয়াত নং-১)।
নতুন যুগের সূচনা, আর ইমানের অগ্নি পরিক্ষার জন্য সামনে যে প্রজন্মের প্রয়োজন হবে তাদেরকে তৈরি করার জন্য একজন ঐশী শক্তির সাহায্যপ্রাপ্ত যোগ্য নেতার প্রয়োজন। সে প্রয়োজনকে সামনে রেখেই আল্লাহ তায়ালা তাঁর মহান হাবিবকে একান্ত সান্নিধ্য দিয়ে অনাগত ভবিষ্যতের সে প্রজন্মের স্বপ্নপুরুষ হিসেবে তৈরি করেছিলেন।
সত্য প্রকাশে অবিচলতা আর ন্যায়ের পক্ষে দৃঢ়তার প্রমাণ পাওয়া যায় রাসূল স. এর মিরাজের ঘটনায়। কেননা, মিরাজ থেকে প্রত্যাবর্তন করে উম্মে হানীকে যখন এ ঘটনার বিবরন শুনালেন, তিনি বললেন, আপনি কুরাইশদের সামনে আপনার এ ঘটনা প্রকাশ করবেন না। তারা আপনাকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করবে। উত্তরে তিনি বলেছিলেন-
আল্লাহর কসম আমি অবশ্যই তাদেরকে এ ঘটনা বলব। (আল বিদায়া ওয়াননিহায়া)
মিরাজের অন্যতম শিক্ষা হচ্ছে, আল্লাহ তায়ালার দাসত্ব মানুষের জন্য সবচেয়ে গৌরবের বিষয়। এর চেয়ে বড় সম্মান আর মানুষের জন্য হতে পারে না। রাসুল সা. আল্লাহর গোলাম আর আল্লাহ তায়ালা হচ্ছেন তার রব। এ জন্যই আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে মিরাজের আয়াতে ‘আবদ’ শব্দটি ব্যবহার করেছেন।
سُبْحَانَا لَّذِي أَسْرَى بِعَبْدِه (আল বিদায়া ওয়াননিহায়া।)
মিরাজের রাত্রিতে রাসূল স. কে মদ এবং দুধ পরিবেশন করা হলে, তিনি দুধকে গ্রহণ করেন এবং মদকে প্রত্যাখ্যান করেন। তখন জিব্রাইল আ. তাঁকে বলেন-
আপনি ফিতরাতের পথ অবলম্বন করেছেন।(মুসলিম শরিফ, হাদিস নং-৪৪২)
এতে প্রমাণিত হয়, ইসলাম হলো মানুষের স্বভাবজাত ধর্ম।
সর্বাবস্থায় আল্লাহর যিকির করতে হবে। আল্লাহ তায়ালার যিকিরের বিনিময়ে মু‘মিনদের জন্য জান্নাতে বৃক্ষ রোপন করা হবে। রাসূল স. বলেন-
لقيت إبراهيم ليلة أسري بي فقال يا محمد أقرئ أمتك مني السلام وأخبرهم أن الجنة طيبة التربة عذبة الماء وأنها قيعان وأن عراسها سبحان الله والحمد لله والحمد لله ولا إله إلا الله والله أكبر
(সুনানুত তিরমিযি, হাদিস নং-৩৪৬২)
মিরাজের রজনীতে ইব্রাহীম (আ.) এর সাথে আমার সাক্ষাৎ হয়েছিল। তিনি আমাকে বললেন,“হে মুহাম্মাদ! আপনার উম্মতকে আমার সালাম দিবেন। আর তাদেরকে বলবেন, জান্নাত উর্বর ভূমি ও সুমিষ্ট পানিময়। কিন্তু তা উদ্ভিদ শূন্য। এর বৃক্ষরাজি হচ্ছে, এই যিকর: سبحان الله والحمد لله والحمد لله ولا إله إلا الله والله أكبر
রাসূলে স. মিরাজে কিছু সামাজিক অপরাধের শাস্তি স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেছেন। যা থেকে পরবর্তীতে তাঁর উম্মতকে সতর্ককরণে বিশেষ সহায়ক হয়েছে। কেননা, কোন একটা বিষয় শুনে বলায় যে অনুভুতি থাকে, দেখে বলায় তার চেয়ে অনেক বেশী কার্যকর অনুভুতি থাকে।মিরাজের রাসুল সা. যে শাস্তিগুলো প্রত্যক্ষ করেছেন তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে-
ক. ব্যাভিচার ব্যাভিচারিণীদের শাস্তি।
খ. মিথ্যা সাক্ষ্যদাতার শাস্তি।
গ. চোগলখোরদের শাস্তি।
ঘ. সুদখোর ও ঘুষখোরদের শাস্তি।
ঙ. যাকাত অস্বীকারকারীর শাস্তি।
চ. গীবতের শাস্তি।
ছ. মিথ্যাবাদী,ভূয়া তথ্যদাতা বা তথ্য সন্ত্রাসীদের শাস্তি।
জ. আমানতের খিয়ানতকারীর শাস্তি।
ঝ. অবৈধ উপায়ে ইয়াতিম- অসহায়দের সম্পদ আত্মসাৎ কারীর শাস্তি।
ঞ. অন্যকে দোষারোপ করা এবং তুচ্ছ- তাচ্ছিল্য করার শাস্তি। ইত্যাদি
রাসূল স. এর মিরাজের ঘটনা বহুল ও বিস্ময়কর সফর, বহুমুখী শিক্ষা আর তাৎপর্যে বৈশিষ্ঠ্যমন্ডিত। নতুনভাবে দীনের দাওয়াত দেয়ার ও দাওয়াতে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনার বিষয় যেমন এতে ছিল; তেমনি উম্মতকে সুচারুরূপে পরিচালনার দিকনির্দেশনাও ছিল। আর সাথে ছিল কল্পনালোকের মত এক জগতে বিচরণের বিচিত্র অনুভুতি। আর এ কারণেই মিরাজের বিষয়টি তাবৎ দুনিয়ার মানুষের কাছে এখনও এক মহা বিস্ময় ও সীমাহীন আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু।
লেখক : আরবি প্রভাষক, দারুন্নাজাত সিদ্দীকিয়া কামিল মাদরাসা, ডেমরা, ঢাকা এবং খতীব, হাজী ইয়াসিন সোহাগী জামে মসজিদ, গুলশান, নতুন বাজার , ঢাকা।