রায়পুরায় গ্রামবাসীর সংঘর্ষে নিহত ১; আহত ২৫
শরীফ ইকবাল রাসেল,নরসিংদী প্রতিনিধি:
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন কমপক্ষে ২৫ জন।
বুধবার দুপুরে উপজেলার মেঘনা নদীবেষ্টিত চরাঞ্চল বাঁশগাড়ীতে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম শারফিন মিয়া (২০)। তিনি ব্রাহ্মনবাড়িয়ার বাঞ্চারামপুর থানার সলিমগঞ্জ গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনার জেরে ধরে প্রতিপক্ষরা বেশ কয়েকটি বাড়িতে ভাংচুর চালায়। অগ্নিসংযোগ করা হয় কমপক্ষে ১৫টি বাড়িঘরে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ফাঁকা গুলি, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল হক ও সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সাহেদের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। বিগত ইউপি নির্বাচনে জয় পরাজয়কে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংর্ঘষ হয়। এর জের ধরে বুধবার সকাল থেকে হঠাৎ দুই পক্ষের চারটি গ্রামের ৫-৭ হাজার লোক আগ্নেয়াস্ত্রসহ টৌঁটা-বল্লম নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে চারজন গুলিবিদ্ধসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে এক ইউপি সদস্যসহ আটজনকে উদ্ধার করে প্রথমে রায়পুরা উপজেলা হাসপাতাল ও পরে নরসিংদী সদর ও জেলা হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শারফিনকে মৃত ঘোষণা করেন।
জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত ইউপি সদস্য আমির হোসেন মেম্বার বলেন, হঠাৎ ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল হকের লোকজন আমাদের ওপর হামলা চালায়।
তবে সিরাজুল হক বলেন, ‘সাহেদ আমাদের সবাইকে মেরে ফেলতেছে। অনেক লোকজন আহত হয়েছে। আমরা জীবন বাঁচানোর চেষ্টা চালাচ্ছি’।
এ ব্যপারে কথা বলতে হাফিজুর রহমান সাহেদের মোবাইলে ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
রায়পুরা থানার ওসি মো. মাজাহারুল ইসলাম বলেন, আধিপত্য ও নির্বাচনী সংহিংসতার জেরেই এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ঐ গ্রামটি পুরুষশূন্য হয়ে পড়ে এবং সেখানে ১৪৪ ধারা অব্যাহত রয়েছে।
প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ