নরসিংদীতে তুলা-সুতার গোডাউনে আগুন
নরসিংদী সদর উপজেলার সাহেপ্রতাপে একটি তুলা ও সুতার গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার ভোর রাত ৪টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট দীর্ঘ ৪ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ অগ্নিকান্ডে প্রায় ১০ কোটি টাকার সুতা পুড়ে ক্ষতি হয়েছে বলে মালিক পক্ষ জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সাহেপ্রতাব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার ভেতরেই হাজী আবদুল রাজ্জাক খাঁনের ওয়ালীউল্লাহ এন্টারপ্রাইজ নামের বৃহৎ জুট তুলা ও সুতার গোডাউন রয়েছে। মঙ্গলবার ভোর ৪টার দিকে পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজন গোডাউনে আগুনের লেলিহান শিখা দেখতে পায়। প্রথমে স্থানীয় লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরে খবর পেয়ে নরসিংদী, পলাশ ও মাধবদী ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। এর মধ্যেই আগুন পুরো গোডাউনে ছড়িয়ে পড়ে।
নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: সেলিম মিয়া জানান, আমাদের খবর দেয়া হয় ভোর ৪টার দিকে। খবর পাওয়ার সাথে সাথেই আমরা ৩টি ইউনিট একযোগে কাজ শুরু করি। গোডাউনের ভেতরে সুতা গাদাগাদি করে রাখার কারনে প্রথমে ভেতরে প্রবেশ করা যায়নি। আর চারপাশেও আবাসিক এলাকা থাকার কারনে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনাটা একটু সময় সাপেক্ষ হয়েছে। আর বিশেষ করে এই গোডাউনে আগুন নির্বাপক কোনো ব্যবস্থা ছিলনা। আগুন রাতে লাগার কারনে জনগনের কোনো প্রকার ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
গোডাউনের মালিক আ: রাজ্জাক খান এই ঘটনায় নির্বাক থাকায় তার ছোট ভাই আবুল কালাম জানান, আমরা প্রায় দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ এই ব্যবসা করে আসছি। আমরা নরসিংদীসহ আশপাশের জেলার বিভিন্ন কারখানা থেকে উচ্ছিষ্ট সুতা বস্তা হিসেবে ক্রয় করে গোডাউন ভর্তি করেছি। আর এই সুতা বিক্রির জন্য কথাবার্তা চলছিল। এখানে প্রায় ১০ কোটি টাকারও বেশী সুতা রয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ঘটনার পর নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
কিভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: সেলিম মিয়া।
প্রতিক্ষণ/এডি/সাই