দিনাজপুরে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীদের মানববন্ধন
মোঃ মেহেদি হাসান উজ্জল, দিনাজপুর প্রতিনিধি:
দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত ১০ গ্রামের গ্রামবাসী ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নে মানববন্ধন করেছে।
শনিবার দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর বৈগ্রাম বাজারে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি ক্ষতিগ্রস্তদের দাবী আদায় বাস্তবায়ন কমিটির উদ্দোগে এ মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে সংগঠনের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল ইসলাম তার বক্তব্যে বলেন, বড়পুকুরিয়া কর্তৃপক্ষ গত ৩ বছর আগে আমাদের এই এলাকার প্রায় সাড়ে ৬ শত একর জমি অধিগ্রহণ করে। চলতি বছর মার্চ মাস থেকে ভয়াবহ ভাবে ঘরবাড়ি, ফসলী জমি, স্কুল কলেজ, মসজিদ, মন্দীর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলিতে নতুন করে ফাটল দেখা দিয়েছে। এলাকার মানুষ পরিবার পরিজন নিয়ে ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছে। এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলির পরিবার থেকে যারা শিক্ষিত রয়েছে তাদের শ্রেণিভেদে চাকরী দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাদেরকে চাকরী দেয়া হয়নি। তাই আমরা ১০টি গ্রামের মানুষ অধিকার আদায়ে একত্রিত হয়ে আজ এই মানব বন্ধন করছি । আমরা কোথায় দাঁড়াব এ নিয়ে চিন্তিত রয়েছি।
তিনি আরও বলেন, বড়পুকুরিয়া খনি কর্তৃপক্ষ তাদের সুযোগ সুবিধা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। এবং তাদের কার্যক্রম দৃশ্যমান নয়। আমরা কর্তৃপক্ষকে অনেক বার বুঝাবার চেষ্টা করেছি বিভিন্ন দপ্তরে আমাদের দাবির কথা জানিয়েছি। কিন্ত তারা কি করতে চায় তা সুস্পষ্ট নয়।। ক্ষতিগ্রস্তদের ৬ দফা দাবি বাস্তবায়নে সরকার ও খনি কর্তৃপক্ষ যদি আগামি ২৫ মে মধ্যের আমাদের দাবি পূরণ না করে তাহলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবো ।
মানববন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দাবী আদায় বাস্তবায়ন কমিটির উপদেষ্টা মো. সোলায়মান সামি, যুগ্ম আহবায়ক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. গোলাম মোস্তফা, সদস্য সচিব আলহাজ¦ আবু সাঈদ, সংগঠনের অন্যতম সদস্য মো. আসাদুজ্জামান আসাদ, কার্যকারী সদস্য মুক্তিযোদ্ধা মো. মোকলেছুর রহমান, শ্রমিক নেতা মো. জাহিদুল ইসলাম (রতন), কোষাধ্যক্ষ মো. সাকোয়াত হোসেন, সাবেক ইউপি সদস্য মো. নজরুল ইসলাম,মো. আবেদ আলী, আব্দুর রহমান বাচ্চু,ক্ষতিগ্রস্ত মহিলাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মোছা. নুরবানু ও শিউলী আক্তার।
মানববন্ধনে ১০ গ্রামের নারী-পুরুষ, স্কুল কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী, খেটেখাওয়া মানুষ, দিনমজুর, কুলি, শ্রমিকগণ সহ প্রায়২ হাজার মানুষ অংশ নেন।
এ ব্যপারে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আলহাজ¦ মো. হাবিব উদ্দিন এর সাথে মুঠোফনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এলাকায় রাস্তা নির্মানের টেন্ডার ইতি মধ্যে দেয়া হয়েছে, এলাকায় যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নির্নয়ের জন্য উচ্চপর্যায়ে কমিটি গঠন হয়েছে। এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপুরণ দেয়া বিষয়টি বোর্ডে পাশ হয়েছে। আমি সবে মাত্র তিন মাস হলো দায়িত্ব নিয়েছি এর মধ্যে সব কাজ করতে হচ্ছে । আমি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার আন্দোলন কারী নেতৃবৃন্দদেরকে বলেছি আপনারা শান্ত থাকেন অনেক লাভবান হবেন।
প্রতিক্ষণ/এডি/সাই