গণতন্ত্র বিকাশে সাংবাদিকতায় মুক্ত পরিবেশ প্রয়োজন
গণতন্ত্র বিকাশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা জরুরী। জাতীয় উন্নয়নের স্বার্থেই সাংবাদিকতার মুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।‘ক্রান্তিকালে সমালোচকের দৃষ্টি: শান্তিপূর্ণ, ন্যায়নিষ্ঠ ও অন্তর্ভূক্তিমূলক সমাজ প্রতিষ্ঠায় গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক অালোচনায় এসব কথা বলেন যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষকরা।
আজ বুধবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের সেমিনার হলে ‘বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সভায় এসব কথা বলেন তারা।
বিভাগের জেষ্ঠ্য শিক্ষক ও প্রক্টর মো: আলী আজগর চৌধুরী বলেন, ‘গণতন্ত্র বিকাশে সাংবাদিকতার মুক্ত পরিবেশ যেমন একদিকে গুরুত্বপূর্ণ এবং একইসাথে গণতন্ত্র ও জাতীয় উন্নয়নে সাংবাদিকদের দায়িত্বশীলতার বিষয়টিও অত্যন্ত অপরিহার্য’।
সভাপতির বক্তব্যে বিভাগের সভাপতি মো: আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সাংবাদিকরা জনগণের কন্ঠস্বর। তাই দেশ ও জনগণের পক্ষে সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারলে দেশ এগিয়ে যাবে। গণতন্ত্র ও উন্নয়নে মুক্ত সাংবাদিকতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’।
একই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শহীদুল হক বলেন, ‘দায়িত্বশীলতা ও জবাবদিহিতাসহ গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা দেশের উন্নয়নের স্বার্থেই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়’।
বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রেজাউল করিম বলেন, ‘সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে না পারলে গণমাধ্যম পুরোপুরি স্বাধীন হবে না’।
যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি মো: আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অালোচনায় বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯১ সালে ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ মোতাবেক জাতিসংঘ ১৯৯৩ সাল থেকে এ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ মে ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ডে’ অথবা বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ প্রতিহত করার শপথ গ্রহণ এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে ক্ষতিগ্রস্ত ও জীবনদানকারী সাংবাদিকদের স্মরণ ও তাদের স্মৃতির প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্যই দিবসটির অবতারণা।
প্রতিক্ষণ/এডি/রাহা