দক্ষিণ এশীয় প্রধানদের ভিডিও কনফারেন্স
‘মহাকাশের এই সহযোগিতা আঞ্চলিক শান্তি প্রতিষ্ঠা ও উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ফলপ্রসূ যোগাযোগের মাধ্যমে আমাদের জনগণ উপকৃত হবে’ বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশের প্রধানরা একটি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ নিয়ে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আবহাওয়া ও টেলিযোগাযোগের পাশাপাশি এই স্যাটেলাইটের মাধ্যমে নিজেদের চাহিদা পূরণ করতে পারবে সংশ্লিষ্ট দেশ। আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে আকাশের কোনো সীমা নেই।’
এদিকে বহু প্রতিক্ষিত এই ভিডিও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ নেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপাল সিরিসেন, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দহল, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আশরাফ ঘানি, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে এবং মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিন।
এর আগে শুক্রবার বিকেলে অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে বহুল আকাঙ্খিত দক্ষিণ এশীয় স্যাটেলাইট ‘জিএসএলভি-এফ০৯’ রকেট সফলভাবে উৎক্ষেপণের পর কক্ষপথের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। এরপরই সন্ধ্যায় সাত দেশের সরকার প্রধানরা যুক্ত হন ভিডিও কনফারেন্সে।
তবে পাকিস্তান এ কার্যক্রমের সঙ্গে প্রথম থেকে যুক্ত না থাকায় দক্ষিণ এশিয়ার সার্কভুক্ত সাতটি দেশের সরকার প্রধানই সন্ধ্যায় এ উপলক্ষ্যে যুক্ত হচ্ছেন ভিডিও কনফারেন্সে। যদিও ভারতের উদ্যোগে ২০১৪ সালের সার্ক সম্মেলনে দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশকে এই উপগ্রহে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আজ সন্ধ্যায় গণভবন থেকে এই ভিডিও কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করছেন।
তবে ‘জিএসএটি-০৯’য়ের কারণে বাংলাদেশের নিজস্ব কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট বাধাগ্রস্ত হবে না এমন তথ্য নিশ্চিত হওয়ার পর সাউথ এশিয়া স্যাটেলাইটে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ।
প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ