ধর্ষণের সত্যতা মিলেছে: ডিএমপি কর্মকর্তা
রাজধানীর বনানীতে দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি সাফাত ও সাদমানকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের সত্যতা মিলেছে বলে দাবি করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কর্মকর্তা।
ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) কৃষ্ণপদ রায় বলেন, ‘সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করে আনার পর প্রাথমিকভাবে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সেখানে ধর্ষণের সত্যতা মিলেছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য তাদের জিজ্ঞাসাবাদ প্রয়োজন। এ জন্য আজ তাদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।’
আজ শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের এ কর্মকর্তা এসব কথা জানান।
কৃষ্ণপদ রায় জানান, মামলাটির তদন্তকাজের সুবিধার্থে একটি সহায়ক তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। কমিটির প্রধান ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণপদ রায়। অন্যরা হচ্ছেন ডিবি উত্তরের উপকমিশনার (ডিসি) শেখ নাজমুল আলম, গুলশান বিভাগের ডিসি মোস্তাক আহমেদ ও উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন সেন্টারের ডিসি ফরিদা ইয়াসমিন।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিলেটের মদিনা মার্কেট এলাকা থেকে ধর্ষণ মামলার আসামি সাফাত ও সাদমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর রাতেই তাদের ঢাকায় আনা হয়। তাদের গ্রেপ্তারে ঢাকা মহানগর পুলিশের গুলশান বিভাগ ডিবি ও পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের বিশেষ দল অভিযান পরিচালনা করে।
এ মামলার আসামিরা হলেন আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ, সাদমান সাকিফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী আবুল কালাম আজাদ।
প্রতিক্ষণ/এডি/শাআ