জঙ্গি সুমাইয়া ১০ দিনের রিমান্ডে
রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সন্দেহভাজন নারী জঙ্গি সুমাইয়া বেগমকে ১০দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। রোববার দুপুর থেকেই গোদাগাড়ী মডেল থানায় তার জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে।
এর আগে সকালে সুমাইয়া বেগমকে রাজশাহীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এর আদালত-৩ এ তোলা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার ১৫ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। তবে শুনানি শেষে বিচারক সাইফুল ইসলাম ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বেলা সোয়া ১১টার দিকে এ আদেশ দেন আদালত।
সেকারণে আদালতজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা নেয় পুলিশ। আদালতে নেয়া হয়েছিল সুমাইয়ার দেড় মাসের শিশুকন্যা আফিয়াকেও। তবে সুমাইয়ার কাছে তাকে দেয়া হয়নি। সঙ্গে থাকা নারী পুলিশ সদস্যরা তাকে নিয়েছিলেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গোদাগাড়ী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আলতাফ হোসেন বলেন, আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালত থেকেই আবারো গোদাগাড়ী মডেল থানায় নেয়া হয়। দুপুরের পর থেকেই তার রিমান্ড শুরু হচ্ছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি পুলিশকে যেসব তথ্য দিয়েছেন সেগুলো যাচাই-বাছাইয়ের জন্য তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে বলে জানান তদন্তকারী কর্মকর্তা।
গত বৃহস্পতিবার রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার হাবাসপুরের মাছমারা বেনীপুর এলাকার জঙ্গি আস্তানায় অভিযান ‘সান ডেভিল’ চলাকালে আত্মসমর্পণ করেন সুমাইয়া। ওই সময় উদ্ধার করা হয় তার সাত বছরের ছেলে জুবায়ের ও দেড় মাসের মেয়ে আফিয়াকে। পরে সুমাইয়াকে থানায় নিয়ে টানা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিভিন্ন এলাকায় অভিযানে নামে পুলিশ।
আইন-শৃংখলা বাহিনীর বিশেষ অভিযান ‘সান ডেভিল’ শুরুর প্রস্তুতির সময় আস্তানা থেকে বেরিয়ে পুলিশ ও দমকল কর্মীদের উপর সশস্ত্র হামলা চালায় সুমাইয়ার বাবা সাজ্জাদ হোসেন (৫০), মা স্ত্রী বেলী বেগম (৪৫), ভাই আল-আমিন ওরফে আমীর হামজা (২০), বোন কারিমা খাতুন (১৭) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের দেবীপুর চরচাকলা এলাকার আব্দুল হকের ছেলে আশরাফুল ইসলাম (২৩)।