ধর্ষণের সত্যতা স্বীকার নাঈম আশরাফের
রাজধানীর বনানীতে একটি আবাসিক হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী ধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামি আবদুল হালিম ওরফে নাঈম আশরাফ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের সত্যতা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
মনিরুল ইসলাম বলেন, মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ে অভিযান চালিয়ে নাঈম আশরাফ ওরফে এইচএম হালিমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাদীদের ভাষ্য অনুযায়ী সেদিন রাতে নাঈমের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত ছিল। গ্রেফতারের পর তাকে ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়। সেখানে ওমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন্সের তদন্ত কর্মকর্তারা তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে নাঈম ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ করা হয়েছে এই অভিযোগের বিষয়টি পুলিশের তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির মুখপাত্র বলেন, সাফাতের বডি গার্ড রহমতের কাছ থেকে তার অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে। অস্ত্রটি সেই রাতে ব্যবহার হয়েছিল কিনা আমরা তদন্ত করছি।
এর আগে গতকাল বুধবার রাতে নাঈম আশরাফকে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং থেকে গ্রেপ্তারের পর আজ ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে আনা হয়। এ নিয়ে বনানী থানায় ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামির সবাই গ্রেপ্তার হলেন। এই মামলার প্রধান আসামি শাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে ১১ মে সিলেট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর সোমবার ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হন মামলার চার ও পাঁচ নম্বর আসামি শাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও দেহরক্ষী রহমত আলী।
প্রসঙ্গত, ২৮ মার্চ বন্ধুর সঙ্গে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে বনানীর ‘দ্য রেইনট্রি’ হোটেলে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণের শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রী। ঐ ঘটনায় ৬ মে রাজধানীর বনানী থানায় সাফাত আহমেদ, তার বন্ধু নাঈম আশরাফ ও সাদমান সাকিফ, গাড়িচালক বিল্লাল ও অজ্ঞাতনামা একজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুই ছাত্রী।
https://www.youtube.com/watch?v=tkBhII2Tm-Y
প্রতিক্ষণ/এডি/সাই