‘ইসলামিক ফোরাম’ গঠন করতে চায় আ.লীগ

প্রকাশঃ মে ২২, ২০১৭ সময়ঃ ৭:৫৩ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১:০০ অপরাহ্ণ

সমমনা আলেম ওলামাদের নিয়ে একটি পৃথক ‘ইসলামিক ফোরাম’ গঠনের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দলীয় নেতাদের মধ্যে এ বিষয়ে মতবিরোধ থাকলেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ সোমবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সম্পাদকমন্ডলীর সভায় এ প্রস্তাব দেন তিনি।

সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, আইনজীবীদের একটি পৃথক ফোরাম করতে আমরা সমর্থ হয়েছি। আমার মনে হয় ইসলামিক একটি ফোরামও প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। সামনে রমজান মাস, তখন ইসলামিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান এই ফোরাম করতে পারবে।

তিনি বলেন, আমরা গতানুগতিক ফোরাম দাঁড় করাবো না। আমাদের আদর্শ ধারণ করেন এমন আলেম-ওলামা নিয়ে এই ‘প্ল্যাটফর্ম’ করা যেতে পারে।

তবে ওবায়দুল কাদেরের এমন প্রস্তাবের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ এবং অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক টিপু মুন্সি।

তারা বলেন, আওয়ামী লীগ যেহেতু অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক দল, সেখানে এ ধরনের পৃথক ইসলামিক ফোরাম কতখানি যুক্তিযুক্ত তা ভেবে দেখা দরকার। তাছাড়া আমাদের ধর্মবিষয়ক সম্পাদকের একটি পদ রয়েছে। এ পদের দায়িত্বে যিনি আছেন তিনি ইসলামিক কার্যক্রমগুলো সম্পাদন করতে পারেন।

সভা শেষ করার আগে সবাই একমত হন যে, ইসলামিক ফোরাম গঠন নিয়ে দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান বলেন, “তৃণমূলের বিরোধ মিমাংসায় যেসব নেতাদের ঢাকায় ডেকে এনে বিরোধ মিমাংসা করা হচ্ছে তাতে হিতে বিপরীতই হচ্ছে। তৃণমূলের রাজনীতিতে কমবেশি বিরোধ থাকবেই। সেটা আমরা সংশ্লিষ্ট জেলায় গিয়ে প্রতিনিধি ও বর্ধিত সভার মধ্যদিয়ে গঠনতন্ত্র অনুসরণ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে আরও বেশি ফলপ্রসূ হবে।”

তিনি বলেন, “এতে করে স্থানীয় রাজনীতিতে গ্রপিং আরও বাড়ছে। স্থানীয় সমস্যা স্থানীয়দের বেশি বেশিঅন্তর্ভুক্ত করে সমাধানের চেষ্টা করা হলে তাতেই বেশি সুফল পাওয়া যাবে।”

এর জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, “এমন হয়ে থাকলে বিকল্প চিন্তা অবশ্যই আমাদের করতে হবে।”

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নোয়াখালির হাতিয়ার একটি বিরোধ মিমাংসায় স্থানীয় নেতাদের ঢাকায় ডেকে বিরোধ নিষ্পত্তির চেষ্টা করা হলে ধানমন্ডির কার্যালয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এছাড়াও যশোর, কুষ্টিয়া, সাতক্ষ্মীরা, চুয়াডাঙ্গা, কুমিল্লা দক্ষিণ, নীলফামারী, মৌলভীবাজার, চট্টগ্রামসহ আরও কয়েকটি জেলার নেতাদের ঢাকায় ডেকে বিরোধ নিস্পত্তির বৈঠক করেন ওবায়দুল কাদের।

বৈঠকে ওবায়দুল কাদের সব কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্বাচনভিত্তিক স্থানীয় রাজনীতিতে না জড়াতে নির্দেশ দিয়েছেন।  আগে আগেই নির্বাচন করার মানসিকতা নিয়ে এলাকায় গিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের খবরদারি অস্থিরতা তৈরি করবে। এই মানসিকতা সবাইকে পরিহার করতে হবে।

সভায় অন্য দল থেকে কেউ আওয়ামী লীগে যোগ দেয়ার আগে কেন্দ্রের অনুমতি নেয়া লাগবে বলে উত্থাপন করেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ ও মৃণাল কান্তি দাস।

প্রতিক্ষণ/এডি/সাই

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

December 2025
SSMTWTF
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031 
20G