শেয়ার বাজারে করোনার থাবা
এক বছরের টানা ধস কাটিয়ে না উঠতেই, এবার করোনা ভাইরাসের প্রভাব পড়ছে পুঁজিবাজারে। কমছে লেনদেন, মূলধন হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। এমন অবস্থায় ডিএসই বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে দরপতন ঠেকাতে মার্কেট বন্ধ করাই সমাধান নয়, বিনিয়োগকারীদের মনে আস্থা ফেরানোর পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।
পুঁজিবাজারের বেহাল অবস্থা নিয়ে নানা মহলে আলোচনায় আসলেও দীর্ঘমেয়াদি শঙ্কা জাগায় চলতি বছরের ১৪ই জানুয়ারি। এক বছরের ব্যবধানে এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ সর্বোচ্চ মূলধন হারায় এক লাখ কোটি টাকা। গত বছর থেকে দরপতনের রেশ এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি বিনিয়োগকারীরা। এ অবস্থায় নতুন করে করোনা ভাইরাসের নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে ডিএসইতে। আগের সপ্তাহের চেয়ে গত সপ্তাহে লেনদেন ও মূলধন কমার পাশাপাশি নিম্নমুখী সুচকের পয়েন্ট। স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা ও টানা দরপতন ঠেকাতে ডিএসইর কার্যক্রম সাময়িক বন্ধের দাবি বিনিয়োগকারীদের।
এ বিষয়ে একজন বলেন, মার্কেট যেভাবে চলছে তাতে স্টক এক্সচেঞ্জ বন্ধ করে দেয়া উচিত। ব্যাংক যদি এগিয়ে আসে এবং সরকার যদি উদ্যোগ নেই তাহলে ভালো হবার সম্ভাবনা আছে।
ব্রোকারেজ হাউজগুলোতে না গিয়েও শেয়ার বিক্রি করার সুযোগ থাকায় পুঁজিবাজার বন্ধ করার পক্ষে নন অর্থনীতিবিদরা। বিনিয়োগকারীদের আস্থার সংকটই বর্তমান সমস্যার মূল কারণ বলে মনে করেন তারা।
অর্তনীতিবিদ খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, স্টক এক্সচেঞ্জের কারণে তো আর জনসমাগম হয় না। তারা বাইরে থেকে কাজ করতে পারে বা বিভিন্ন হাউজ থেকে কাজ করতে পারে। সে কারণে বন্ধ রাখার প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না। করোনা ভাইরাস সাময়িক ব্যাপার। মূল কারণ হচ্ছে জনগণের শেয়ার বাজারের ওপর কোনো আস্থা নেই। সেটাকে ট্যাকেল না দিয়ে, বার বার টাকা চাওয়া হচ্ছে এ কারণে আরও কিছু টাকা মেরে দেয়ার ধান্ধা ছাড়া কিছু না।
শেয়ারবাজারে নতুন করে ব্যাংকিং খাতের বিনিয়োগ ইতিবাচক হবে না বলেও মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক সাবেক এই গভর্নর।