একেই বলে ভাগ্যের পরিহাস! বিশ্ব সেরাদের তালিকায় নাম সঙ্গে সদ্য এশিয়া কাপ বিজয়ী লঙ্কাকে এখন কঠিন পরীক্ষা দিতে হচ্ছে সুপার-১২ এ খেলার টিকিট হাতে পেতে। এটাই এখন চরম বাস্তবতা। কারণ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্বে শ্রীলঙ্কার খেলা এখনও অনিশ্চিত।
যোগ্যতা অর্জনের জন্য কাল নিজেদের শেষ ম্যাচে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে লঙ্কাকে শুধু বড় ব্যবধানে জিতলেই হবে না। এর সঙ্গে দাসুন শনাকাদের তাকিয়ে থাকতে হবে নামিবিয়া-সংযুক্ত আরব আমিোতের ম্যাচের ফলের দিকেও। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারের ইনজুরিতে শংকায় রয়েছে শ্রীলঙ্কা শিবির।
এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়নদের এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী শনাকারাই। প্রথম ম্যাচে নামিবিয়ার কাছে বড় ব্যবধানে হারই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত করে তুলেছে। শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক তবু বাড়তি চাপ নিতে রাজি নন। শনাকার সোজা কথা, জয় ছাড়া যখন উপায় নেই, তখন নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে জয় ছাড়া অন্য কিছুই ভাবছেন না তাঁরা। কী হলে কী হবে, সে সব ভেবে নিজেদের বাড়তি চাপে ফেলতে রাজী নন অধিনায়ক।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্বে যাওয়ার জন্য শ্রীলঙ্কা শিবিরের উদ্বেগ ইনজুরি। পেসার দুষ্মন্ত চামিরার পায়ের আঘাত চিন্তায় রেখেছে। তাঁর স্ক্যান রিপোর্ট পাওয়ার পর বোঝা যাবে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে কাল তিনি খেলতে পারবেন কি না। শ্রীলঙ্কা শিবিরকে চিন্তায় রেখেছে দানুষ্কা গুণতিলক এবং প্রমোদ মদুশনের হ্যামস্ট্রিংয়ের ইনজুরিও।
নামিবিয়ার কাছে প্রথম ম্যাচে পরাজয় নিয়ে ভেবে সময় নষ্ট করতে চায় না শ্রীলঙ্কা শিবির। শনাকা বলেছেন, ‘‘আমাদের শক্তি কী তা আমরা জানি। প্রথম ম্যাচে আমরা ঠিক মতো খেলতে পারিনি। সে জন্যই নামিবিয়ার কাছে হারতে হয়েছে। তবু ওদের থেকে দল হিসাবে আমরা অনেক এগিয়ে।’’ নেদারল্যান্ডসকেও বাড়তি গুরুত্ব দিতে চাইছেন না শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক। শনাকার সহজ কথা, ‘‘রান করতে হবে। ভানুকা রাজাপক্ষে শুরুটা ভাল করলে আমাদের সুবিধা হতে পারে।’’