হৃদরোগ থেকে বাঁচতে হলে
হেলথ ডেস্ক, প্রতিক্ষণ ডটকম:
হৃদরোগ এক নিরব ঘাতক এবং যে কেউ এতে আক্রান্ত হতে পারেন। নিয়মিত শরীর চর্চার অভাব, কথা বলা সময় মাত্রারিক্তভাবে চেঁচিয়ে কথা এবং শরীরে অতিরিক্ত দূর্বলতা এই রোগের ঝুঁকিকে অনেকাংশে বাড়িয়ে দেয়।
অনেকেই হৃদরোগের লক্ষণ জানেন না এবং বুঝতে পারেন না । ফলে বিশ্বে প্রতিবছর এ রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রচুর মানুষ মারা যায়। তাই একটু সচেতন হলে হৃদরোগের মত কঠিন রোগ থেকে বাঁচতে পারি আমরা।
চলুন জেনে নিই হৃদরোগ থেকে বাঁচতে হলে আমাদের কি করতে হবে –
· সকল প্রকার তামাক এবং তামাকজাত দ্রব্য গ্রহন থেকে বিরত থাকুন।
· অতিরিক্ত তেল অথবা চর্বি যুক্ত খাবার গ্রহন থেকে বিরত থাকুন,স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহন করুন।
· আপনার খাদ্য তালিকায় তাজা শাকসব্জি এবং ফল অন্তর্ভুক্ত করুন।
· তরকারিতে পরিমিত লবন খান, খাবারে বাড়তি লবন মিশিয়ে খাওয়া বন্ধ করুন।
· চিনি বা মিষ্টি জাতীয় খাবার যত সম্ভব এড়িয়ে চলুন।
· ঘাম ঝরানো শারীরিক পরিশ্রম করুন, হাটার সময় দ্রুত হাটুন। সব সময় লিফট ব্যবহার না করে যতদুর সম্ভব সিড়ি বেয়ে উঠার অভ্যাস করুন।
· উচ্চরক্তচাপ বা হাইপারটেনশন (ব্লাড প্রেসার) এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে রাখুন।
· শরীরের বাড়তি ওজন কমিয়ে ফেলুন এবং ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখার চেষ্টা করুন।
· রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত রাখুন, লিপিড প্রোফাইল পরীক্ষাটি করে জেনে নিন আপনার রক্তে কোন ধরনের চর্বি বেশী আছে, সেই অনুযায়ী চিকিৎসা নিন এবং খাদ্য তালিকা তৈরী করুন।
· যাদের বাবা/মা বা বড় ভাই বোন দের (পারিবারিক) হৃদরোগ আছে তারা অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করুন এবং নিয়মিত রক্তচাপ, রক্তের চর্বি, ডায়াবেটিস পরীক্ষা করে নিজের অবস্থান জেনে নিন।
· মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকার চেষ্টা করুন, মানসিক চাপ হৃদরোগ ঘটায়। সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে দৈনিক নিয়মিত প্রার্থনা করু্ন। সম্ভব হলে মেডিটেশন করে দেখতে পারেন।
· দৈনিক অল্প কিছু সময় শিশু এবং বয়োবৃদ্ধদের সাথে কাটানোর চেষ্টা করুন, বন্ধুদের সাথে প্রানখোলা আড্ডা মানসিক প্রশান্তি আনতে পারে। সব সময় হাসি খুশী থাকবার চেষ্টা করুন।
· দৈনিক পরিমিত নিদ্রা গ্রহন করুন, লক্ষ্য রাখুন আপনার দৈনন্দিন জীবনে যেন যথেষ্ট বিশ্রাম এবং বিনোদনের সূযোগ থাকে।
· ছোট শিশুদের গলা ব্যথা হলে বা বাতজ্বর হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
· করোনারি বা অন্যান্য জটিল হৃদরোগ হবার সুনির্দিষ্ট কোন বয়স নেই, তাই সব বয়সেই হার্টের যন্ত নেবার প্রতি সচেষ্ট হন। সন্দেহ হলে চিকিৎসকের স্মরণাপন্ন হোন।
প্রতিক্ষণ/এডি/শিমুল