জার্মান চ্যান্সেলর চীন সফর, বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা চলছে
বেইজিংয়ের সাথে চুক্তি করতে স্কোলসের চীন সফর তাঁর দেশেই সমালোচিত হয়েছে। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ স্কোলজ তিন বছরের মধ্যে গ্রুপ অফ সেভেন (জি-৭) দেশগুলির প্রথম চীন সফর করছেন। চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সাথে দেখা করেছেন।
শুক্রবার চীনে একটি উচ্চ-স্তরের ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়ে, বেইজিংয়ের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বাড়ানোর বিষয়ে জার্মান নেতা এখন আরো স্বৈরাচারী বলেই প্রচারিত হয়েছে। জার্মান নেতা প্রেসিডেন্ট শির সঙ্গে সম্পর্ক কারণে আরও স্বৈরাচারী হয়ে উঠছে এমন অভিযোগও উঠেছে। চীনকে স্বৈরাচারী জাতি হিসেবে বিবিসিতে উল্লেখ করে চীনের সাথে চুক্তি করার সিদ্ধান্ত সমালোচনাকে উস্কে দিয়েছে।
চীনের উপর জার্মান শিল্পের অনেক বেশি নির্ভরতাও নতুন করে যাচাই-বাছাইয়ের মুখোমুখি হয়েছে। বিশেষ করে রাশিয়ান জ্বালানী-শক্তি আমদানির উপর বার্লিনের অত্যধিক নির্ভরতার কারণে জার্মানদের দিকে জি-৭ এখন নেতিবাচক দৃষ্টি ভঙ্গি পোষণ করছে। ৮ মাস আগে যুদ্ধ শুরুর কয়েক মাস পরই মস্কো ইউক্রেনে আক্রমণের কারণে ইউরোপিয়নেদের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার প্রতিশোধ হিসাবে সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।
২০১৯ সালে কোভিড-১৯ মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে ২০২২ সালের শেষ ভাগে বেইজিংয়ে জি-৭ এর কোনও নেতার প্রথম সফর এটি।
২০১৯ থেকে কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান, ইউনাইটেড কিংডম এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোন দেশই বেইজিংয়ে সফর করেনি। রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারকারী সিসিটিভি অনুসারে শুক্রবার স্কোলজের সাথে মুখোমুখি বৈঠকের সময়, শি বলেন, প্রভাবশালী বৃহৎ দেশ হিসাবে চীন এবং জার্মানির উচিত বিশ্ব শান্তির স্বার্থে “পরিবর্তন ও অশান্তির সময়ে” একসাথে কাজ করা।
স্কোলসের প্রতিনিধিদলের সাথে থাকা কথা বলার পর আল-জাজিরার একজন সাংবাদিকের জানিয়েছেন, উত্তেজনাপূর্ণ সময়ে উভয় নেতাই ব্যক্তিগতভাবে বৈঠক করছেন। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ আন্তর্জাতিক ব্যবসায় ছাড়াও অন্য অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যা তৈরি করেছে। এ সব নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
সূত্র : আল-জাজিরা