ক্রীড়া ডেস্ক
ছোট দল হলেই যেন আম্পায়দের সিদ্ধান্ত গুলো বড় দলের পক্ষে চলে যাবে, এমন ধারা আইসিসির সব বিশ্বকাপেই দেখে আসছে বাংলাদেশ। ২০২২ টি২০ বিশ্বকাপের আসরেও এর ব্যতিক্রম হলো না। ভারতের বিপক্ষে লজ্জা-হীন আইসিসির আম্পায়ার প্যানেল আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে একাধিক অবৈধ সিদ্ধান্ত দিয়েছে। বিরক্ত পুরো বাংলাদেশ, প্রচন্ড বিরক্ত অধিনায়ক সাকিব। এক দিকে ব্যাট হাতে ব্যর্থতা আর এরপর বল হাতে ক্যাচ মিসের সঙ্গে রান আউট না করতে পারা। আম্পায়ারের এলবি’র নিশ্চিত আউটের সিদ্ধান্ত বাতিলের ঘটনার ম্যাচে বাংলাদেশ হেরেছে ৫ উইকেটে।
যদি টাইগারদের স্কোর দেড় শত ছূঁতে পারত, তাহলে পাক শিবিরের জয়টা এতো সহজ হতো না। হয়তো বা আজ বাংলাদেশ প্রথম বার বিশ্বকাপের আসরে সেমিতে খেলতে পারত। ৫ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে বিদায় বাংলাদেশ।
পাকিস্তানকে হারাতে পারলেই সেমির টিকিট হাতে। এমনই বাস্তবতা সামনে রেখে টস জিতে ব্যাট করছে টাইগাররা। স্কোর ৫ ওভারে ৩৮/১। ৭৩ রানে ২ উইকেট। ২০ ওভারে যা হবার কথা ছিল তা হয়নি ব্যাটিং ব্যর্থতায়, স্কোর ১২৭/৮। ১২৮ রানের টার্গেটে পাকিস্তানকে বাংলাদেশ ১০ ওভারে ৫৬ রানের বেশি নিতে দেয়নি। কিস্তু বাজে আম্পায়ারিংয়ের বাংলাদেশ হারল। ৫ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা নেদারল্যান্ডেস এর কাছে ১৩ রানে হেরে যাবার ফলে সেমির টিকিট হাতে পেল পাকিস্তান ভাগ্যের দয়াতে।
মামুলি এই স্কোর তাড়া করে জয় আয়ত্ব করা পাক শিবিরের জন্য কঠিন কিছু না। তাই আগামই বলা যায় পাক শিবিরে অবশেষে সেমিতে খেলার টিকিট পাচ্ছে। মুলত পেসার আফ্রিদি একাই ধ্বস নামলেন টাইগার বাহিনীতে। ৪ ওভারে ২২ রানে শিকার করলেন ৪টি উইকেট।
ওপেন করতে নামা লিটন ১০ রানে ক্যাচ আউটের পর ১৭ বলে ২০ রান করা সৌম্যও ফেরত গেছেন। সাকিব এলেন, প্রথম বলেই স্পিনার শাদাদ খানের বল সাকিবের ব্যাটে আঘাত করে প্যাডে আঘাত করে। টস জিতে উইকেটের সুবিধা আদায় করতে পারেনি বাংলাদেশ।
কিন্তু বিস্মকর হলেও সত্য, আম্পায়ার এলবি’র আবেদনে সাড়া দিলেন! সাকিব এক নন, পুরো স্টেডিয়ামের গ্যালারি ভর্তি দর্শক আর ধারাভাষ্যকারও অবাক। বার বার টিভিতে ধারাভাষ্যকাররাও সমালোচনা করেছে। সাকিব কয়েক বার এ নিয়ে প্রতিবাদ জানালেনও কাজ হলো না।
আগের ম্যাচে ২৭ বলে ৬০ রান করা লিটন এবার ব্যর্থ হলেন, মাত্র ১০ রান করে আফ্রিদির বলে সহজ ক্যাচে পরিণত হন। এরপর ওপেনার শান্তর সাথে জুটি বাঁধলেন সৌম্য সরকার। পুরো আসরে ব্যর্থ ইয়াসিরকে বসিয়ে সৌম্য একাদশে রাখা হয়েছে। লিটন- সৌম্য-সাকিবের পর ক্রিজে ৪৬ বলে ৫০ করার পর শান্ত বোল্ড। এবারের টি২০ আসরে এটা শান্তর দ্বিতীয় ফিফটি। আর আফিফ ব্যাট করছেন। স্কোর ১৩.২ ওভারে ৯১/৪।
আফিফ আর মোসাদ্দেকের জুটিই বাংলাদেশের শেষ ভরসা করার মতো জুটি। ৭ রান করা আফিফ ডাবলস নিতে গিয়ে রান আউট হওয়া থেকে ভাগ্য গুণে বেঁচে গেলেন। ফিল্ডার বল হাতে নিয়েও স্ট্যাম্প ভাঙ্গলেন হাত দিয়ে, বল স্ট্যাম্পে লাগেনি। ১৫ ওভারে স্কোর ৯৯/৪।
১৭তম ওভারে পেসার আফ্রিদি সৈকতকে বোল্ড করলেন আর সোহানকে সহজ ক্যাচ বানালে বাংলাদেশের স্কোর দেড় শত যাবে এটা পরিস্কার হয়ে যায়, স্কোর ছিল ১০৭/৬। তাসকিন কিছু করার আগেই আউট! শেষ ওভারে আফিফের ব্যাট থেকে ৪ বলে আসে ১০ রান, ৫ম বলে ক্যাচ আউট নাসুম আহমেদ (৭)। ২০ ওভারে ১২০ বলে বাংলাদেশের ব্যাট থেকে এসেছে ১২৭/৮।
১২৮ রানের জবাবে পাক শিবির শুৃরু থেকেই বাংলাদেশের বোলিংয়ের তোপের মুখে পড়ে ১০ ওভারে জমা করে ৫৬ রান। ১৩ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৭৬, জয় পেতে দরকার ছিল ৪২ বলে ৫২ রান, হাতে ৮টি উইকেট অক্ষত পাকিস্তানের। সাকিবের বলে লিটন তৃতীয় উইকেট রান আউট করলেও শেষ রক্ষা হয়নি। পাকিস্তানের মিডল অর্ডারের হারিসের ১৮ বলে ৩১ রানই ডুবিয়েছে। দ্বিতীয় স্পেলে তাসকিন যদি রান একট কম দিতেন তাহলে লড়াইটা আরো জমতে পারত। শেষ ২ বলে ১২ রান আটকানো সম্ভব ছিল ন। ১১ বল না খেলেই পাকিস্তান স্কোর বোর্ডে জমা করেছে ১২৮/৫।