জহির ভূইয়া
বিশ্বকাপ মিশণে যাবার আগে থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পাওয়ার হিটে দুর্বলতা বহু আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে নিউজিল্যান্ড-এ তিন জাতি টি২০ প্রস্তুতি সিরিজে পাওয়া হিটের সমস্যায় জর্জরিত ছিল টাইগার বাহিনী। সেই ধারা বহাল ছিল অস্ট্রেলিয়া টি২০ বিশ্বকাপ আসরেও।
টি২০ মানেই তো পাওয়া হিট, কিন্তু বাংলাদেশ দলে লিটন, সাকিব, আফিফ ছাড়া আরেো কেউ বিগ হিট করতে পারছে না। বিশেষ করে পাওয়া প্লে-তে শত ভাগই ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে বাংলাদেশ। যেখানে অন্য দলের টপ অর্ডার থেকে মিডল অর্ডার সকলেই কম বেশি ছয় মারতে সক্ষম। সেখানে আমরা বহু মাইল পেছনে দাঁড়িয়ে আছি। বাংলাদেশে দলের টি২০ ফর্মেটে উন্নতি করতে হলে আগে পাওয়া হিটে রপ্ত হতে হবে, এর কোন বিকল্প নেই।
টি২০ বিশ্বকাপে টাইগারদের ৫ ম্যাচে চার আর ছয় মারার পরিসংখ্যানে চোঁখ রাখলেও সব পস্কিার হয়ে যায়। ৫ ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটাররা মোট বাউন্ডারি মেরেছে ৫০টি আর ছক্কা মেরেছে মাত্র ১৯টি! আলাদা ভাবে ব্যাখা করলে যা দাঁড়ায় তা হলো- নেদারল্যান্ডেস এর বিপক্ষে ১০ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কা, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ৩টি বাউন্ডারি আর ছয় ৪টি, এরপর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১২টি বাউন্ডারি আর ২ ছয়, ভারতের বিপক্ষে ১৩টি বাউন্ডারি আর ৭ ছয় এবং শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১২ বাউন্ডারি আর ৩ ছয়।
এই গ্রাফে তো আর যাই হউক বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে বড় সফলতা আসা করা যায় না। একটা বিষয় পরিষ্কার, বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাকিস্তান বা ভারতের মতো প্রতিষ্ঠিত শক্তির বিপক্ষে পাওয়া হিট করতে ব্যর্থ। অথচ জিম্বাবুয়ে বা নেদারল্যান্ডেস বা আয়ারল্যান্ড কিন্তু হেসে খেলেই এই সব বড় দলের বোলাদের আকাশে ভাসিয়ে বাউন্ডারির বাইরে পাঠাচ্ছে। সেটাই আমাদের রপ্ত করতে হবে, যদি টি২০ ফর্মেটে বড় দলের তকমা বা প্রতিষ্ঠিত দলের তালিকায় উপরে উঠতে চাই।