ক্রীড়া প্রতিবেদক
জয় দিয়ে কাতার বিশ্বকাপ শুরু করলো বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স । কাতারের আল-ওয়াকরাহ’র আল-জানুব
স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ডি’ গ্রুপের দ্বিতীয় ও নিজেদের প্রথম ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও অভিজ্ঞ অলিভার গিরুদের জোড়া গোলে অস্ট্রেলিয়াকে ৪-১ ব্যবধানে পরাজিত করেছে লেস ব্লুজরা।
ম্যাচের শুরুতেই আক্রমনে গিয়ে ৯ মিনিটে ক্রেইগ গুডইউন গোল করে এগিয়ে দেন অস্ট্রেলিয়াকে। তবে সেই লীড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি সকারুজরা। প্রথমে গোল হজম করেই যেন খোলস থেকে বেড়িয়ে আসে দিেিয়র দেশ্যমের শিষ্যরা। মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় ফরাসীরা। আদ্রিয়ান রাবোয়িত গোলে সমতায় ফেরে(১-১) ফ্রান্স। এমন অবস্থায় অস্ট্রেলিয়া কিছু গিরুদের গোলে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ফ্রন্স।
ম্যাচের নবম মিনিটে সকারুজদের এগিয়ে দেন গুডইউন। ডান প্রান্ত থেকে ম্যাথু লেকির পাশের বল বাঁ পায়ের শটে জালে জড়ান সকারুজ স্ট্রাইকার। এটি ছিল কাতার বিশ্বকাপের এখনো পর্যন্ত দ্রুততম গোল।
২১ মিনিটে দ্বিগুন ব্যবধানে এগিয়ে যেতে পারতো এশিয়ার প্রতিনিধিত্ব করা
অস্ট্রেলিয়া। ফরাসি ডিফেন্ডারদের ভুল পাসের সুযোগে ফের বল পেয়ে যান সকারুজ স্ট্রাইকার গুডইউন। তবে ডি বক্সের বাইরে থেকে তার নেয়া জোরালো শটের বলটি অল্পের জন্য সাইডবার ঘেষে বাইরে চলে যায়।
ম্যাচের ২৭ মিনিটে সমতায় ফিরে আসে ফ্রান্স। মধ্য মাঠ থেকে ডিফেন্ডার থিওহার্নান্দেজের ক্রসের বল দর্শনীয় হেডে সকারুজদের জালে জড়িয়ে দেন মিডফিল্ডার রাবোয়িত।
৫ মিনিটের ব্যবধানে লিড পায় তারা। ৩২ তম মিনিটে সকারুজদের রক্ষনের ভুলে
রাবোয়িত বল নিয়ন্ত্রনে নিয়ে সতীর্থ অলিবার গিরুদের কাছে চালান করে দেন। ব্যাক পাস থেকে পাওয়া বলটি আলতো শটে জালে জড়ান অভিজ্ঞ গিরুদ। ফলে ২-১ গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স।
মূলত প্রথম গোলের আগে একটিও পরিকল্পিত আক্রমণ করতে পারেনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
রাবোয়িত এর গোলের পরেই পাল্টে যায় ম্যাচের চেহারা। ৪৪তম মিনিটে দারুন একটি সুযোগ মিস করেন এমবাপ্পে। পরের মিনিটে হার্নান্দেজের হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ফলে ২-১ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।
বিরতি থেকে ফেরার পর ম্যাচের নিয়ন্ত্রন এককভাবে চলে যায় ফরাসিদের কাছে। ৬০মিনিটে আরো একবার গোল করার সুযোগ নষ্ট করেন এমবাপ্পে। রাবোয়িতের ট্রূপাসের বল ফাঁকায় পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন পিএসজি তারকা।
৬৭ মিনিটে আরও একটি আক্রমণ ব্যর্থ হয় ফ্রান্সের। পরের মিনিট অর্থাৎ ৬৮তম মিনিটে নেটের দেখা পান এমবাপ্পে। ডি বক্সের ভেতর ওসমানে ডেম্বেলের ক্রসের বল দর্শনীয় হেডে জালে জড়ান তিনি। ফলে ৩-১ গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স।
৭১ মিনিটে এমবাপ্পে একক প্রচেস্টায় বল নিয়ন্ত্রনে নিয়ে ডি বক্সে ঢুকে ক্রস করেন অলিভার গিরুদকে। দারুন এক হেডে সেটি জালে জড়ান তিনি। ৮২ তম মিনিটে আবারো গোল বঞ্চিত হন এমবাপ্পে। ইতোমধ্যে বড় ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে বিশ^ চ্যাম্পিয়নরা।