রেলওয়ের চাকরির আবেদনপত্র চুরি, গ্রেপ্তার তিন
নিজস্ব প্রতিবেদক,প্রতিক্ষণ ডট কম
পশ্চিমাঞ্চল রেলের অফিস থেকে চুরি হয়ে যাওয়া চাকরির ৩১৫টি আবেদনপত্র উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-৫। এসময় চুরির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করা হয়।
বুধবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে র্যাব কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সামনে আটকদেরকে উপস্থিত করা হয়।
আটকরা হলেন, মহানগরীর ছোটবনগ্রাম উত্তরপাড়া এলাকার হাসমত আলীর ছেলে ফজলে রাব্বি (১৮), আব্দুল মজিদের ছেলে হাসমত আলী (৫৫), কেদুর মোড় বৌ বাজার এলাকার মাজেদ হোসেনের ছেলে হারুন-অর-রশিদ (৩২)। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বাংলাদেশ রেলওয়েতে এমএলএসএস, পোর্টার ও ওয়েম্যান পদে লোক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর চাকরিপ্রার্থীরা নির্দিষ্ট ঠিকানা বরাবর আবেদন করেন। পয়লা ফেব্রুয়ারি রেল ভবনে সংরক্ষিত রাখা আবেদনপত্রগুলো থেকে অনেকগুলো চুরি হয়ে যায়। পরে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ৭ ফেব্রুয়ারি র্যাব-৫ এর অফিসে আবেদন করেন।
এরই প্রেক্ষিতে র্যাব-৫ এর পক্ষ থেকে অভিযান শুরু করা হয়। পরে বুধবার সকালে তাদের নিজ নিজ এলাকা থেকে আটক করা হয়। ওই সময় তাদের কাছে এমএলএসএস পদের জন্য ৩০৭টি, পোর্টার পদের জন্য ৭টি ও ওয়েম্যান পদের জন্য ২টি আবেদনপত্র, ৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মাহাবুর আলম জানান, আবেদনপত্রগুলো চুরি করে প্রতারকচক্রটি ওইসব আবেদনপত্রে দেওয়া মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করে। আবেদনপত্র ভুল হয়েছে বলে তারা বিকাশের মাধ্যমে একেক জনের কাছে ৫০০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত দাবি করে। পরে র্যাব সদস্যরা ওইসব বিকাশ নম্বরের সূত্র ধরে তাদের নিজ নিজ এলাকা থেকে আটক করেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের ডেপুটি চিফ কমার্শিয়াল অফিসার এমএ জিন্নাহ জানান, রেজিস্ট্রারভুক্ত ৮৪টি আবেদনপত্র হারিয়ে যাওয়ার পর তারা বিষয়টি বুঝতে পারেন। অন্য আবেদনপত্রগুলো রেজিস্ট্রারভুক্ত হওয়ার আগেই রেল অফিস থেকে চুরি হয়ে যায়।
এ বিষয়ে ইতোমধ্যে পশ্চিম রেলের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে জানান ওই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
প্রতিক্ষণ/এডি/রাজিব