ক্রীড়া প্রতিবেদক
বিপিএল ২০২৩ আসরে দ্বিতীয় ম্যাচে কুয়াশার কারণে টস একটি বড় ফ্যাক্টর বলে ধরে নেয়া হয়েছিল। রাতের ম্যাচে যে দল টস জিতে পরে ব্যাট করবে তারা জিতে যাবে। কিন্তু আজ মিরপুরে কুয়াশার ম্যাচে রংপুর এ ধারণা ভূল বলে প্রমাণ করে দিল ৩ বারের শিরোপা জয়ী কুমিল্লাকে। রংপুর আজ নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৩৪ রানে কুমিল্লাকে হারিয়ে শুভ সূচনা করেছে। ২০ ওভারের কোটাও পূরণ করতে পারেনি কুমিল্লা, ১৯.১ ওভারে অলআউট ১৪২ রানে। এর আগে রংপুর ২০ ওভারে করে ১৭৬/৯।
টস হরে রংপুর কুমিল্লার আমন্ত্রণে ব্যাট করতে নেমে ঝড় তোলে উইকেটে। ওপেনার রনি তালুকদারের ব্যাটিং ঝড়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজেদের প্রথম ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৬ রান করেছে রংপুর রাইডার্স। ২১৬’র বেশি স্ট্রাইক রেটে ৩১ বলে ১১টি চার ও ১টি ছয়ে ৬৭ রান করেন রনি। এই ইনিংস খেলার পথে বিপিএলে বাংলাদেশী খেলোয়াড়দে মধ্যে মাত্র ১৯ বলে দ্রুততম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে বোলিং করার সিদ্বান্ত নেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। সেটা ভূল বলে প্রমাণ করেছে রংপুর। মোহাম্মদ নাইমকে নিয়ে রংপুর রাইডার্সের ইনিংস শুরু করে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন রনি তালুকদার। ৪ ওভারে দলের রান ৪১এ পৌঁছে দেন তিনি। এসময় ৫টি চার ও ১টি ছয় মারেন রনি।
পেসার আশিকুজ্জামানের করা পাওয়ার প্লের শেষ ওভারের প্রথম চার বলে চারটি বাউন্ডারি মারেন রনি। একই ওভারে বাউন্ডারি দিয়ে ক্যারিয়ারে অস্টম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন রনি।
হাফ-সেঞ্চুরির পর নিজের ইনিংস বড় করার চেষ্টা করেছেন রনি। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানের স্পিনার খুশদিল শাহর করা নবম ওভারের পঞ্চম বলে আউট হওয়ার আগে ৩১ বল খেলে ১১টি চার ও ১টি ছক্কায় ৬৭ রান করেন ডান-হাতি ব্যাটার রনি। নাইম-রনি উদ্বোধনী জুটিতে ৫৩ বলে ৮৪ রান যোগ করেন ।
রনির আউটের পর পাকিস্তানের শোয়েব মালিকের সাথে রানের চাকা সচল রাখেন নাইম। তবে আফগানিস্তানের পেসার ফজলহক ফারুকির বলে বিদায় নেন নাইম। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৪টি চারে ৩৪ বলে ২৯ রান করেন তিনি।
এরপর চার নম্বরে নেমে সুবিধা করতে পারেননি জিম্বাবুয়ের সিকান্দার রাজা। ১০ বলে ১২ রান করে স্পিনার মোসাদ্দেক হোসেনের শিকার হন রাজা। অধিনায়ক নুরুল হাসানকে নিয়ে ২০ বলে ২৯ রান যোগ করে দলের রান দেড়শ পার করে আউট হন মালিক। ব্যক্তিগত ৩৩ রানে রান আউট হন এই ডান-হাতি ব্যাটার। ২৬ বল খেলে ১টি করে চার-ছক্কা মারেন তিনি। শেষদিকে ১টি করে চার-ছয়ে নুরুল ১১ বলে ১৯ ও ইংল্যান্ডের বেনি হাওয়েল ৬ বলে ৮ রানে অপরাজিত থাকেন। ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৭৬ রানের সংগ্রহ পায় রংপুর। কুমিল্লার ফারুকি-মুস্তাফিজুর-খুশদিল ও মোসাদ্দেক ১টি করে উইকেট নেন।
১৭৭ রানের জবাবে কুমিল্লার টপ অর্ডার ছিল ব্যর্থ। মিডল অর্ডারে অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের ২৩ বলে ৩৫ রানের ব্যক্তিগত স্কোরটি ছাড়া আর কোন ব্যাটার ২০ রানের সীমানা পেরুতে পারেনি।