ভারতে ব্যাপক উচ্ছেদের আশঙ্কা, অধিকাংশই মুসলমান
আন্তর্জাতিকে ডেস্ক
ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্য উত্তরাখণ্ডে ৪ হাজারেরও বেশি বাড়ি ভেঙে ফেলার বিষয়ে এনডিয়ার শীর্ষ আদালত সাময়িকভাবে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। আপাতত খুশি হলেও নিজেদের ভাগ্য নিয়ে চিন্তিত স্থানীয়রা। সাধারণ মনাুষ এখনও তাদের বাড়ির ভাগ্য নিশ্চয়তা পায়নি। এদের অধিকাংশই দরিদ্র মুসলিম পরিবারের সদস্য। হালদওয়ানি শহর থেকে বিবিসি হিন্দির ভিনিত খারে এবং দীপক জাসরোটিয়া এ রিপোর্ট করেছেন।
সরকারি শীর্ষ কর্তারা অভিযোগ করেছেন, যাদের বাড়ী ভাঙ্গার আদেশ দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে অধিকাংশই মুসলমান। সংখ্যাটি ৫ হাজারেরও বেশি মানুষ ভারতীয় রেলওয়ের অন্তর্গত জমিতে বসবাস করছেন। কিন্তু বাসিন্দারা বলছেন, তারা কয়েক দশক ধরে এই এলাকায় বসবাস করছেন এবং রেলওয়ের কাছে তাদের দাবি সমর্থন করার মতো কোনো দলিল তাদের নেই।
গেল বছর ডিসেম্বরে রাজ্য হাইকোর্ট রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে এক সপ্তাহের নোটিশ দেওয়ার পরে “অননুমোদিত দখলদারদের উচ্ছেদ করতে বলেছিল। ১ জানুয়ারি থেকে বাসিন্দারা উচ্ছেদের নোটিশ পেতে শুরু করেন।
সুপ্রিম কোর্ট বৃহস্পতিবার এই আদেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয় “রাতারাতি হাজার হাজার বাড়ী-ঘর উপড়ে ফেলা যাবে না। একটি “গ্রহণযোগ্য সমাধান” খুঁজে বের করতে হবে।
আদেশের খবর বাসিন্দাদের কাছে পৌঁছানোর সাথে সাথে ভয় স্বস্তির পথ দেখায়। বাসিন্দারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরে অভিনন্দন জানায়, তারা যে সাময়িক মুক্তি পেয়েছিল তার জন্য খুশি।
কিন্তু ৭ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির তারিখ যতই কাছে আসছে, বাসিন্দারা নিজেদেরকে হতাশা ও আশার মধ্যে দোলাচ্ছেন।
সূত্র : বিবিসি