শীতের শেষে ভাইরাস জ্বরে করণীয়

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৫ সময়ঃ ৪:১৮ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৮:৪৪ পূর্বাহ্ণ

হেলথ ডেস্ক, প্রতিক্ষণ ডটকম:

indexশীতের শেষভাগে এসে ভোররাতের তাপমাত্রা কমে যায় এবং দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাপমাত্রা কিছুটা বেশি থাকে। দিন রাতের তাপমাত্রার এই ওঠানামার ফলে কিছু কিছু ভাইরাস আমাদের শরীরে আক্রমণের সুযোগ পায়।

তাপমাত্রার এই দ্রুত পরিবর্তনের সঙ্গে যাঁরা খাপ খাওয়াতে পারছেন না, তাঁরাই আক্রান্ত হচ্ছেন জ্বর-সর্দি-কাশিতে। ঋতু পরিবর্তনের ফলে জ্বরের এই প্রকোপ নতুন কিছু নয়, সাধারণের কাছে এটি ‘ফ্লু’ বা ‘ভাইরাল ফ্লু’ হিসেবে পরিচিত।

এমন আবহাওয়ার বেশি মাত্রায় সক্রিয় হয়ে পড়ছে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া। যার কারণেই জ্বর ও সর্দি-কাশির প্রকোপ বাড়ছে৷ সঙ্গে শরীরজুড়ে ব্যথা৷ তবে এতে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কিছু নেই৷ ভাইরাসের কারণে জ্বর হলে সাধারণত সাত দিনের মধ্যেই ভালো হয়ে যায়। তবে হঠাৎ করে যাতে ঠান্ডা না লাগে, তার জন্য সতর্ক থাকতে হবে৷’

উপসর্গ: মূলত জ্বর, কেউ কেউ মাথাব্যথা, সর্দি, অরুচি, গাব্যথা, কাশির উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসকের কাছে আসেন। তবে আক্রান্তদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যাই বেশি। এ সময় ঠান্ডা-সর্দির কারণে কান বন্ধ হতে পারে। কান বন্ধের সঙ্গে কানে ব্যথাও থাকতে পারে। এসব ক্ষেত্রে দ্রুত চিকিৎসা নেওয়া উচিত। অনেক সময় শিশুদের প্রচণ্ড সর্দি লেগে যায়। কোনো কোনো শিশুর ক্ষেত্রে ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত জ্বর হতেও দেখা যায়। তবে বড়দের ক্ষেত্রে জ্বর ততটা তীব্রভাবে না-ও হতে পারে।

প্রতিকার: হঠাৎ করে ঠান্ডা যাতে না লাগে, তার জন্য বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে৷ জ্বর হলে গোসল বন্ধ না করে প্রতিদিন একই সময়ে গোসল করতে হবে। চুল ও শরীরের পানি ভালো করে মুছে দিন, যাতে নতুন করে ঠান্ডা না লাগে।

চিকিৎসা: এ অবস্থায় প্রথমেই জ্বর কমানোর জন্য চিকিৎসকের পরামর্শে জ্বর কমানোর ওষুধ সেবন করতে হবে। পাশাপাশি সাধারণ তাপমাত্রার পানিতে ভেজানো তোয়ালে দিয়ে সারা শরীর মুছে দেওয়া উচিত। জ্বর ১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইটে নেমে না আসা পর্যন্ত এটা চালিয়ে যেতে হবে। এক-দুই ঘণ্টার মধ্যে উচ্চ তাপমাত্রার জ্বর না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

 

 

প্রতিক্ষণ/এডি/শিমুল

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G