শুভ্র কাশফুলের নগরী পদ্মার চর
নিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম:
দু’দিন পরেই শুভ্র বসনা দেবী মর্তে আসবেন, এ যেন তারই আগমনী বার্তা। মাদারীপুরের শিবচরের কাওড়াকান্দি ঘাট থেকে শুরু করে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া ঘাটের পদ্মার চর ছেয়ে গেছে কাশফুল।
এ দৃশ্য মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌ-রুটে যাতায়াতকারীদের সকলের মন কেড়ে নেয়। শরতের নরম পেলবতা ও কাশফুলের শুভ্রতা পদ্মার চরকে দিয়েছে নয়নাভিরাম সৌন্দর্য। কাশবন যেন আলত ভাবে হাতছানি দিচ্ছে শীতকে।
হাতছানি শুধু শীতকে দিয়েই ক্ষ্যান্ত হয়নি এই শুভ্র কাশফুল। যাতায়াত করা সকলের মনে সাদা রংয়ের পবিত্রতার ছোয়া বুলিয়ে দিচ্ছে আলতো ভাবে। সকল দুঃখ পদ্মায় জলাঞ্জলী দিয়ে শান্তির বার্তা দিয়ে দেয় সকলের হৃদয়ে।
দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের জন্য মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌ-রুট ব্যবহার করে থাকে। কাওড়াকান্দি ঘাট থেকে তাকালে পদ্মায় অসংখ্য চর দেখা যায়। সেখানে মন মাতানো কাশবন।
অন্যদিকে মাওয়ার চরতারপাশা ও মাগুরখণ্ডে ছোটবড় অসংখ্য চরের দুই পাশেই ফুটেছে কাশফুল। শিবচরের কাঁঠালবাড়ী ইউনিয়নের হাজারা চ্যানেলের ডান-বাম দু’দিকেও কাশবন।
মাদারীপুর পরিবেশ সংরক্ষণ উন্নয়ন পরিষদের সদস্য সচিব জহিরুল ইসলাম খান বলেন, কাশফুল শুধুই সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে না, দর্শনার্থীদের মনও কেড়ে নেয়। পদ্মার চরে এ কাশফুলের সৌন্দর্য যেন দৃষ্টি নন্দন হয়ে উঠেছে।
মাদারীপুর নজরুল পরিষদের সভাপতি সুবল বিশ্বাস বলেন, আবহমান বাংলার অপার সৌন্দর্যের অন্যতম কাশফুল শুধু পদ্মার চরেই নয়, এ অঞ্চলের নদ-নদীর দুই পাড়ে শরৎকালে দেখা যায়। এটা প্রকৃতির লীলাভূমিতে সৃষ্টির অন্যতম নিদর্শন।
প্রতিক্ষণ/এডি/অানিস