নোয়াখালীতে গ্রেপ্তার ৩৬, বসুরহাটে উত্তেজনা
ইফতেখার রাজু
বিশ দলীয় জোটের ডাকা চলমান হরতালে নাশকতার অভিযোগে নোয়াখালীতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ ৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যৌথবাহিনী।
রোববার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত জেলার মাইজদী, কোম্পানীগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও বিজিবির যৌথদল অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
জেলা পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ জানান, অবরোধ ও হরতালকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে এদের গ্রেপ্তার করা হয়।পুলিশ ও বিজিবির যৌথদল মোট ৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করে।
আটককৃতদের মধ্যে বিএনপি-জামায়াতের ১৫ জন, সাতজন ছাত্রদলের নেতাকর্মী রয়েছেন।বাকিরা অন্য মামলার আসামি বলে জানান তিনি।
আটক হওয়া ছাত্রদল নেতাকর্মীরা হলেন- ছাত্রদলের নোয়াখালী শহর শাখার সভাপতি মিজানুর রহমান, নোয়াখালী সরকারি কলেজ শাখার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আজগর উদ্দিন দুখু, ছাত্রদলের পৌর কমিটির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন সুমন, আরিফ, সুজন, আবু সাদেক জুয়েল ও রায়হান।
এদিকে নেতাকর্মী আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট বাজারে ঝটিকা মিছিল ও ভাঙচুর চালিয়েছে ছাত্রদল কর্মীরা।এ ঘটনায় এক জন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিল থেকে বসুরহাট বাসস্ট্যান্ডের সামনে একটি মাইক্রোবাস ও আটটি অটোরিকশা ভাংচুর করা হয়। এ সময় মিছিলকারীদের ছোড়া হাতবোমায় মাইক্রোবাসের যাত্রী আলমগীর আহত হন। পরে তাকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
নেতাকর্মী গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরুল আমিন প্রতিক্ষণকে বলেন, রাজনৈতিকভাবে ‘হয়রানির উদ্দেশ্যে বিনা অপরাধে’ তাদের নেতাকর্মীদের আটক করেছে পুলিশ। দেশে এখন একদলীয় শাসন চলছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি সাজেদুর রহমান সাজিদ জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
প্রতিক্ষণ/এডি/ই রা