পেট্রোল বোমায় দগ্ধ যুবকের মৃত্যু

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৫ সময়ঃ ৯:১৯ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৯:৩২ অপরাহ্ণ

জেলা প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম

Burn-unit deadঅবশেষে মৃত্যুর কাছে হেরে গেলেন পেট্রোল বোমায় ঝলসে যাওয়া বিশ বছরের যুবক মোহাম্মদ ইদ্রিস।

৬ দিন আগে পেট্রোল বোমা হামলায় মারাত্মক অগ্নিদগ্ধ হন ইদ্রিস। আজ মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে পটিয়া থানার শাহমীরপুর এলাকায় সিএনজি অটোরিকশায় দুর্বৃত্তদের ছোড়া পেট্রলবোমায় ইদ্রিসসহ চারজন দগ্ধ হন।  ওইদিন রাতে গুরুতর দগ্ধ দুইজনকে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

চমেক বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের চিকিৎসক ডা. স্বরুপ বলেন, ‘আগুনে ইদ্রিসের শ্বাসনালী ও শরীরের ৩০শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। তাকে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল।

তিনি জানান, সকালের দিকে অগ্নিদগ্ধ যুবকটির অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়। বিকাল পাঁচটার দিকে তার মৃত্যু হয়।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোহাম্মদ জহির জানান, গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে ইদ্রিসকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় চমেক হাসপাতালে ভর্তি হয়। তার বাড়ী চট্টগ্রামের বায়েজীদ থানাধীন অক্সিজেন এলাকায়।

মোহাম্মদ জহির জানান, কর্ণফুলী থানাধীন মইজ্জারটেক এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিক্সায় থাকা অবস্থায় ইদ্রিসসহ মোট চারজন অগ্নিদগ্ধ হয়েছিলেন। দুর্বৃত্তরা তাদের বহনকারী অটোরিক্সায় পেট্রল বোমা মারলে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

নিহত ইদ্রিসের বড় ভাই মো. উসমান বলেন, ইদ্রিস চট্টগ্রামের অক্সিজেন একটি কারখানায় কাজ করতো। বুধবার রাতে বাড়ি থেকে কারখানায় ফিরছিল।

কান্নারত অবস্থায় উসমান বলেন, “আমার ভাইতো কোনো রাজনীতি করে না।  তাকে কেন পুড়ে মরতে হলো।  সে সবার ছোট, অথচ সবার আগেই তাকে চলে যেতে হলো। এ কষ্ট কিভাবে সইবো।”

চার ভাই-চারবোনের মধ্যে ইদ্রিস ছিলেন সবার ছোট। তিনি কক্সবাজার জেলার পেকুয়া থানার গোয়াখালী গ্রামের সর্দার আহমদের ছেলে।

প্রতিক্ষণ /এডি/রাতুল

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G