আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে অবর্ণনীয় জুলুম চালাচ্ছে সরকার

প্রকাশঃ জানুয়ারি ১৫, ২০১৫ সময়ঃ ৩:১৪ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৮:৩৫ অপরাহ্ণ

rizbiনিজস্ব প্রতিবেদক, প্রতিক্ষণ ডটকম

বিরোধীদলের লগাতার অবরোধ-হরতালের মধ্যে সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে রিমান্ডের নামে অবর্ণনীয় জুলুম চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, বিরোধী দলের চলমান আন্দোলন দমাতে শতকরা ৫ ভাগ জনসমর্থনের এই সরকার নিষ্ঠুর জুলুমের বিষাক্ত দাঁত নিয়ে জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে। নিজেদের অবৈধ সত্তাকে রক্ষা করার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে জনগণের মুখোমুখী দাঁড় করিয়েছে এ সরকার।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, যারা শতকরা ৫ ভাগ ভোটের ওপর ভিত্তি করে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে তাদেরকে নাশকতা, সন্ত্রাস, হানাহানি, খুনোখুনির ওপর নির্ভর করেই ক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে হয়। কারণ তাদের পেছনে জনগণের কোনো ম্যান্ডেট নেই।

রিজভী বলেন, এই ভোটারবিহীন সরকারের নিত্য সঙ্গী হচ্ছে অবিরাম মিথ্যাচার। প্রধানমন্ত্রী প্রতিদিন বলছেন- দেশে নাকি তিনি গণতন্ত্র দিয়েছেন, এক অদ্ভুত মানবী হচ্ছেন আমাদের ভোটারবিহীন প্রধানমন্ত্রী।

বিএনপি’র প্রধান কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে, বিএনপি চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে তার নিজ কার্যালয়ে বালুর ট্রাক, ইটের ট্রাকসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দিয়ে অবরুদ্ধ করে রেখে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ অসংখ্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে কারারুদ্ধ করে দেশব্যাপী নির্বিচারে গ্রেপ্তার আর ব্যাপক মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করে, গণমাধ্যমে বিরোধীদের বক্তব্য বন্ধ করে দিয়ে এক নতুন ধরণে গণতন্ত্র চালু করেছেন প্রধানমন্ত্রী। অবশ্য এ ধরনের একদলীয় গণতন্ত্র তাদের ঐতিহ্য।

রিজভী আহমেদ গভীর আক্ষেপ করে আরো বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতাসীন হওয়ার পর থেকে সবচেয়ে বেশি সময় অতিবাহিত করেছেন বিএনপি ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পরিবারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে। এই অবৈধ সরকার শান্তি, সম্প্রীতি ও শুভেচ্ছা নির্বাসনে পাঠিয়ে নিজের দেশের লোককেই লাঠিপেটা করতে বেশি পারঙ্গম হয়ে উঠেছে।

বিএনপি’র সিনিয়র নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে রিমান্ডের নামে চালানো হচ্ছে অবর্ণনীয় জুলুম। দেশব্যাপী জনগণকে নিপীড়নের এই দুঃসহ যন্ত্রণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী নিজে এবং তার উচ্ছিষ্টভোগীদের কুৎসা ও অরুচিকর বক্তব্যের বাকস্বাধীনতার গণতন্ত্রই এখন চালু রয়েছে।

নারায়ণগঞ্জে ৭ খুন এবং ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান একরামকে হত্যা করে আগুনে পুড়িয়ে ফেলাটা আর বর্তমানে যাত্রীবাহী বাসে আগুন নিক্ষেপ করা একেবারে হুবহ মিলে যায়। আর তাই এই অবৈধ শক্তির বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা চলমান আন্দোলন অজস্র নির্দয় দলন-পীড়নের মধ্যেও দমিয়ে রাখতে না পেরে তারা আবারও ৫ জানুয়ারীর পূর্বাপর নিজেরাই নাশকতা সৃষ্টি করে সেটি আন্দোলনকারী বিরোধীদের বিরুদ্ধে ঢালাওভাবে অপপ্রচারের ঢাকঢোল পিটিয়ে যাচ্ছে।

বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ আরো বলেন, কোন বর্বরোচিত আক্রমণই বিরোধী দলের চলমান আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে পারবেনা।

বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, অমানবিক নাশকতা সৃষ্টি করে বিরোধী দলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালালেও জনগণ তা কখনোই বিশ্বাস করবেনা। যদিও ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী সকল গণমাধ্যম দখল করে সেগুলোকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির ন্যায় যখন যা ইচ্ছা তাই বলছেন, তথাপিও জনগণই হচ্ছে শ্রেষ্ঠ বিচারক, জনগণ এই দুঃশাসনের অত্যাচারীদের বিচার করবেই।

প্রতিক্ষন/এডি/মুরাদ

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G