পদ্মায় লঞ্চডুবি, ৩৬ লাশ উদ্ধার
নিজস্ব প্রতিবেদক,প্রতিক্ষণ ডটকম
মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়া যাওয়ার পথে সারবাহী কার্গো’র সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ‘এমভি মোস্তফা’ নামে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ ডুবে গেছে।
এ ঘটনায় ৩৬ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
উদ্ধার করা ৩৬ লাশের মধ্যে এক শিশু, তিনজন নারী ও তিনজন পুরুষ। এদের কারোরই পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
নিখোঁজ রয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। উদ্ধার হওয়া শিশুটিকে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায়। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
খবর পেয়ে মাওয়া ঘাট থেকে উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম ঘটনাস্থলে যাচ্ছে।
রবিবার দুপুর পৌনে ১২ টার দিকে সারবাহী কার্গো জাহাজের ধাক্কায় লঞ্চটি ডুবে যায়।
উথুলিস্থ শিবালয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বিকাশ চন্দ্র রায় এবং ফায়ার সার্ভিসের ঘিওর স্টেশন কর্মকর্তা জিহাদ হোসেন লাশ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে, স্থানীয়ভাবে নৌ পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস হতাহতদের উদ্ধার তৎপরতা চালালেও লঞ্চটি উদ্ধারের কোনো কার্যক্রম শুরু হয়নি।
এর আগে দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবদুল মুক্তাদির খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুপুরে পাটুরিয়া থেকে দৌলতদিয়া যাওয়ার পথে পদ্মা নদীতে এমএল মোস্তফা নামের লঞ্চটি দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে ডুবে যায়।
তিনি জানান, বাঘাবাড়িগামী এমভি নারগিস-১ নামে সারবাহী একটি কার্গো জাহাজের সঙ্গে ধাক্কা লেগে লঞ্চটি মাঝ নদীতে ডুবে যায়।
এ ঘটনায় কার্গো জাহাজ এমভি নারগিসকে আটক করা হয়েছে। আর প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে উদ্ধারকাজ তদারকি করছেন বলে জানান তিনি।
এদিকে, দুর্ঘটনাকবলিত লঞ্চ থেকে সাঁতরে উদ্ধার পাওয়া যাত্রী বিমল চন্দ্র মণ্ডল, তাপস কুমার দাস ও তার বন্ধু আখতার মোল্লা জানান, এমএল মোস্তফা লঞ্চে তারা ফরিদপুর যাচ্ছিলেন। মাঝ নদীতে পৌঁছানোর পর বাম দিক থেকে এসে কার্গো জাহাজটি লঞ্চকে ধাক্কা দেয়। এতে কয়েক মিনিটের মধ্যেই ডান দিকে কাত হয়ে লঞ্চটি ডুবে যায়।
লঞ্চটিতে দুই শতাধিক যাত্রী ছিল জানিয়ে তারা বলেন, দুর্ঘটনার পর আমরা সাঁতরে কার্গো জাহাজটির লাইফ টায়ার ধরে প্রাণে বেঁচে গেছেন।
উদ্ধার পাওয়া এই তিন যাত্রীর ভাষ্যে, দুর্ঘটনার পর ৫০-৬০ জন যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে সক্ষম হয়েছেন। বাকিরা লঞ্চের মধ্যেই রয়েছেন।
প্রতিক্ষন/এডি/রবি