অতিরিক্ত ঘুমে স্বাস্থ্য ঝুঁকি

প্রকাশঃ ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৫ সময়ঃ ৯:৪৬ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৮:৫৪ পূর্বাহ্ণ

হেলথ ডেস্ক, প্রতিক্ষণ ডটকম:

imagesদেহ-মন সুস্থ রাখতে ঘুমের কোন বিকল্প নেই। ঘুমের অভাব দূর করা তাই অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রতিদিন যেখানে ৭-৯ ঘণ্টার ঘুম জরুরি, সেখানে আরো বেশি সময় ঘুম হলে উল্টো স্বাস্থ্যহানি ঘটতে পারে।

চলুন তাহলে জেনে নিই বেশি ঘুমানোর ক্ষতিকর দিকগুলোর কথা।

১. বিষণ্নতার ঝুঁকি সৃষ্টি করে : বেশি সময় ধরে ঘুমানোর ফলে মানুষের মধ্যে বিষণ্নতার লক্ষণ প্রকাশ পায়। পরীক্ষায় দেখা যায়, যারা ৯ ঘণ্টা ও তার বেশি সময় ঘুমান, তাঁদের মধ্যে বিষণ্নতার লক্ষণ ৪৯ শতাংশ বেড়ে যায়।

২. মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা দুর্বল করে : খুব কম বা খুব বেশি সময়ের ঘুম মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতা হ্রাস করে। নারীরা পাঁচ ঘণ্টার কম অথবা ৯ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে নিয়মিত ঘুমালে দুই বছরের জন্য তাঁদের মগজের কর্মক্ষতা কমে যেতে পারে।

৩. গর্ভধারণে সমস্যা করে : অতিরিক্ত ঘুমের কারণে নারীদের গর্ভধারণের ক্ষমতা হ্রাস পায়। প্রায় ৬৫০ জন নারীর ওপর এ গবেষণা পরিচালিত হয়। খ্যাতিমান অ্যান্ডোক্রাইনোলজিস্ট ড. ইভান রোজেনব্লাথ বলেন, ঘুমের সঙ্গে দেহের ২৪ ঘণ্টার জৈবিক চক্র, হরমোন ক্ষরণ এবং ঋতুস্রাবের বিষয়টি জড়িত। এসব আবার গর্ভধারণের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত।

৪. ডায়াবেটিসের শঙ্কা বাড়ে : রাতে আট ঘণ্টার বেশি ঘুমের কারণে রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা হারায় দেহ। এতে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের শঙ্কা বেড়ে যায়।

৫. ওজন বৃদ্ধির শঙ্কা থাকে : খুব কম বা বেশি ঘুমের কারণে দেহের ওজন অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকে। এসব মানুষের ওজন বৃদ্ধির হার ২৫ শতাংশ বেশি থাকে। অতিরিক্ত ঘুমের কারণে স্থূলতা দেখা দিতে পারে।

৬. হৃদযন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে : আট ঘণ্টার বেশি সময় নিয়মিত ঘুমালে হৃদযন্ত্রের সমস্যা বাড়তে থাকে। অতিরিক্ত ঘুমান এমন তিন হাজার মানুষের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, অন্যদের অপেক্ষা দ্বিগুণ পরিমাণ এনজিনা এবং দেড়গুণ করোনারি আর্টেরি রোগের ঝুঁকিতে ভোগেন তাঁরা।

প্রতিক্ষণ/এডি/জীবন

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G