অতিরিক্ত ল্যাপটপ ব্যবহারে ক্ষতি
ডেস্কটপের তুলনায় আজকাল ল্যাপটপ ব্যবহারের হার বেশি পরিলক্ষিত হয়। ল্যাপটপের এ জনপ্রিয়তার পিছনে রয়েছে এটিকে সহজে বহন করার সুবিধা। কিন্তু অতিরিক্ত ল্যাপটপ ব্যবহারে রয়েছে বিভিন্ন প্রকার অসুবিধাও। ব্রিটিশ গবেষকদের মতে অতিরিক্ত ল্যাপটপ ব্যবহারের ফলে মেরুদণ্ড, ঘাড় ও কাঁধসহ দেহের অন্যান্য অংশে যন্ত্রণা সৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
বিবিসির অনলাইন সংস্করণের প্রকাশিত এক তথ্যে বলা হয়েছে, ল্যাপটপের সামনে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকলে এর তড়িৎ বিদ্যুতের চুম্বকক্ষেত্র (ইএমএফ) বিশেষ ভাবে আপনার মাথা ও দেহের ক্ষতি করতে পারে। তাই কোলের ওপর নিয়েও বেশিক্ষণ ল্যাপটপ ব্যবহার করা ঠিক নয়।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পায়ের ওপর রেখে বেশিক্ষণ ল্যাপটপ ব্যবহারের ফলে শরীরে চাপ পড়ে বেশি। কারণ ব্যবহারকারীরা একদৃষ্টিতে মাথা নিচু করে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকেন। ফলে ঘাড়, মেরুদণ্ড ও পায়ে চাপ পড়ে।
সুইডিস প্রযুক্তিগত স্বীকৃত বোর্ড এবং পেশাদার কর্মীদের সুইডিস কনফেডারেশন এর এক গবেষণায় উঠে এসেছে, ল্যাপটপের অনবরত তড়িৎ বিদ্যুতিক চুম্বকক্ষেত্র নির্গমণ দেহে টিউমার সৃষ্টি করতে ভূমিকা পালন করে। এমনকি ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে।
গবেষণায় দেখা গেছে, দেহের খুব কাছে রেখে ল্যাপটপ ব্যবহার করলে ৩৪.২% থেকে ৪৯.৮% পর্যন্ত বিদ্যুতের প্রবাহ ঘটা সম্ভব। যা আমাদের শরীরের জন্য মোটেই অবহেলার বিষয় নয়। অনবরত এই প্রবাহ চলতে থাকলে অবশ্যই দেহের ক্ষতি হওয়া সম্ভব। বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের এ ব্যপারে বেশি সতর্ক থাকা প্রয়োজন।
তাই ল্যাপটপ ব্যবহার করার সময় প্রতি ২০ থেকে ২৫ মিনিট পরপর বিরতি দেওয়া উচিত। তা না হলে মাংসপেশি, লিগামেন্ট ও হাড়ের জোড়া ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাছাড়া সব সময় ল্যাপটপ টেবিলের ওপর এবং দেহ থেকে দূরে রেখে ব্যবহার করতে হবে, যাতে আমাদের দেহে ল্যাপটপের তড়িৎ প্রবাহ রোধ করা যায়।
প্রতিক্ষণ/এডি/এফটি