অনিন্দ্যসুন্দর নাগলিঙ্গম
ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডট কম
শাখায় নয়, ফুল ফোটে গাছের গুঁড়িতে। গুঁড়ি ফুঁড়ে বের হয় ছড়া। তারপর ফুল। অনিন্দ্যসুন্দর নাগলিঙ্গম। পাপড়ি, রেণু, ফুলের গঠন নাগলিঙ্গমকে করেছে আরও মোহনীয়। এই ফুল অনেকের কাছে অপরিচিত।
নাগলিঙ্গমের বৈজ্ঞানিক নাম কারুপিটা গায়েননসিস। এর আদিবাস দক্ষিণ আমেরিকায়। কেমন করে এ অঞ্চলে এসেছিল, ভারতবর্ষের কোথায় তার প্রথম জন্ম , সেসব রহস্য উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের কাছে আজো অজানা।
দৃষ্টিনন্দন নাগলিঙ্গম ফুলটি ফোটে পুরো গ্রীষ্মকাল জুড়ে। যদিও বর্ষা এবং শরতে কম পাওয়া যায় কিন্তু বছররের অন্য সময়গুলোতেও গাছে থাকে শোভা পায় নাগলিঙ্গম। ফুল ফোটার সময় এ দৃশ্য দেখতে অনেকটা শিউলী ফুলের মত।
উজ্জ্বল গোলাপি, ছয়টি পাপড়ি, পাপড়িগুলো গোলাকার কুল্লি পাকানো। প্রস্ফুটিত ফুলের পরাগ কেশর দেখতে অবিকল সাপের ফণার মতো। আর সে কারণেই লোকে এর নাম দিয়েছে নাগলিঙ্গম ।নাগ মানে সাপ।তবে সৌন্দর্য বর্ধন ছাড়া নাগলিঙ্গম গাছের রয়েছে অনেক ঔষধিগুণও।
নাগলিঙ্গম এখন আর তেমন চোখে পড়ে না।তবে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে সংরক্ষিত এলাকা বাংলাদেশ চা গবেষণা কেন্দ্র (বিটিআরআই) বেশ কয়েকটি গাছ এখনো আছে।
ওই অঞ্চলে এই গাছটা হাতিফল হিসেবে পরিচিত। হাতির পেটের পীড়ায় এই গাছের কচিপাতা ওষুধ হিসেবে খাওয়ানো হত, এ কারনেই হাতীফল নাম দেয়া হয়েছে।
প্রতিক্ষণ/এডি/রবি