জহির ভূইয়া
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল নেদারল্যান্ডসকে হারানোর পর আজ সাকিব বাহিনী হোবার্ট থেকে সিডনি পা রেখেছে। এবার মিশণ দক্ষিণ আফ্রিকাকে বধ করা। কিন্তু বিপত্তি বেঁধেছে পুরো দল যখন বিমান বন্দরে পা রাখে তখন মিডিয়া কথা বলতে চায়। কিন্তু বাধা প্রদান করে বিসিবি বোর্ড পরিচালকরা। কেন? এর জবাব খুঁজতে গিয়ে মিডিয়া জানতে পারে বিসিবি থেকেই এই সিদ্ধান্ত এসেছে।
এরপর একটি টিভিতে বিসিবি মিডিয়া কমিটির প্রধান তানভির আহমেদ টিটুর বক্তব্য তুলে ধরে। সেখানে টিটু স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন এটা দলের সিদ্ধান্ত নয়। বরং এটা বিসিবি-র সিদ্ধান্ত। এরপরই ফেসবুকে আর এদেশের ক্রীড়া মহলে আলোচনার ঝড় উঠে।
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এটা দলের জন্য চলতি বিশ্বকাপ আসরের জন্য মঙ্গলজনক! না-কি এতে মিডিয়ার কোন বিরাট ক্ষতি হয়ে গেল? এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হয় দীপ্ত টিভি’র এডিটর নিউজ অ্যান্ড স্পোর্টস অঘোর মন্ডলের কাছে। তিনি প্রতিক্ষণের কাছে মুঠোফোনে বলেন, ‘বিসিবি যদি চলমান বিশ্বকাপের সময়ের জন্য করে থাকে তাতে দোষের কিছু দেখছি না। এটা যদি বিসিবি দলের চলতি টি২০ বিশ্বকাপ আসরের জন্য করে থাকে, তাহলে অবশ্যই এটা ভাল সিদ্ধান্ত। একটি আসর চলকালে আইসিসির নির্দিস্ট দিনে ক্রিকেটারদের কথা বলতে আসতেই হবে। এতে বিসিবি বাধা দেবার কোন সুযোগ নেই। তবে যদি মনে করে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বললে দলের জন্য ক্ষতি কর, তাহলে বিসিবি বাধা দিতে পারে। পৃথিবীর সব দেশেই ক্রিকেটার আর বোর্ড একটি চুক্তি হয়ে থাকে। তাতে এ বিষয়টা শর্তাবলিতে উল্লেখ থাকে। বিসিবির অনুমতি ছাড়া ক্রিকেটাররা মিডিয়া সাথে কথা বলতে পারবে না এটা সত্য।
তবে মনে রাখতে হবে, এদেশের ক্রিকেট আজ যে অবস্থায় এসেছে তাতে মিডিয়ার ভূমিকাই সব চেয়ে বেশি। তাই মিডিয়াকে পাশ কাটিয়ে চলা-টাও আমি সমর্থন করি না। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে বলতে বাধ্য হচ্ছি, অনেক ক্রিকেটারের সংবাদ প্রচার করতে গিয়ে অনেক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব নির্দিষ্ট ক্রিকেটারের এজেন্ট হয়ে বসে আছে। ক্রিকেটারকে ফোকাস করার জন্য মিডিয়ার সে ব্যক্তিদের বিশেষ ভূমিকা গ্রহণযোগ্য নয়। আর তাছাড়া বিশ্বকাপ চলাকালে আইসিসির নির্দিষ্ট সংবাদ সম্মেলন ছাড়া ক্রিকেটাররা কথা বললে অনেক ক্ষেত্রেই সেটা ভাল চেয়ে খারাপ হয়ে যাচ্ছে। কারণ এখানকার ডিজিটাল যুগে একটি সংবাদ ভাইরাল করতে গিয়ে সংবাদের মুল অংশটুকুই বাদ দিয়ে দিচ্ছে। আগে-পরে কেটে তা পরিবেশন করা হচ্ছে। যেটা দেশের ক্রিকেটের জন্য ও মিডিয়ার সজন্য ক্ষতিকর বটে। সংবাদের সঠিক বৈশিষ্ট আর অবশিষ্ট থাকে না। সংবাদের মুল পটভূমি পাল্টে যাচ্ছে ডিজিটাল যুগে ভাইরালের খপ্পরে পড়ে।
এসব কারণে বিসিবি ক্রিকেটারদের মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে থাকলে আমি এটা খারাপ হিসেবে দেখব না। বরং এতে যদি দলের মঙ্গল হয়, আমার সমর্থন থাকবে। এটাও ঠিক মিডিয়ার কিছু ব্যক্তিরা ক্রিকেটারদের এজেন্টের ভূমিকাও গ্রহনযোগ্য না।’