অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে রেললাইন

প্রকাশঃ ডিসেম্বর ৩, ২০১৫ সময়ঃ ৫:৫২ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৫:৫৭ অপরাহ্ণ

জেলা প্রতিবেদক

gaibandhaদীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় বোনারপাড়া-ফুলছড়ি ফেরিঘাট রুটের রেললাইন সহ অব্যবহৃত কোটি কোটি টাকার সম্পদ অবহেলায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এ রেলওয়ে রুটে ৭ কি.মি রেললাইন, ভরতখালী রেল ষ্টেশন ৩টি রেল ব্রিজ ও তার ব্যাপক সরঞ্জামাদি রক্ষণাবেক্ষণের কোন পদক্ষেপ নেই কর্তৃপক্ষের।

সরোজমিন দেখা গেছে, পদুম শহর আঠারো বাড়ি ও ফুলছড়ি বাজার সংলগ্ন রেল ব্রিজের অর্ধেকাংশ কাঠের সিংপার চুরি হয়ে গেছে। এর সাথে আরও চুরি হচ্ছে মূল্যবান নাট বল্টু। মরিচা পড়ে নষ্ট হচ্ছে এসব সরকারি সম্পদ। ঐ রুটের পুরো অংশেরই লাইন ঘাস ও মাটি দিয়ে ঢেকে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। রেলওয়ে সম্পদ পাহাড়ায় নিরাপত্তা বাহিনী দায়িত্বে থাকলে তাদের কোন ভূমিকা নেই।

জানা গেছে, ২০০০ সালের আগে ফুলছড়ির তিস্তামুখ নদীতে নাব্যতা সংকট ও অসংখ্য চর জেগে উঠায় ফেরিঘাটটি বন্ধ করে দেয় রেল কর্তৃপক্ষ। তখন থেকেই রেলপথটি আর ব্যবহৃত হয় না। এই রেলপথের কর্মচারীরা অলস ঘুরে ফিরে বেতন ভাতা উত্তোলন করেন।

এ দিকে দীর্ঘ দিন থেকে রেলওয়ে মেরিন বিভাগটির কোন কার্যক্রম না থাকায় কর্মকর্তা কর্মচারীরা প্রতিমাসে কোন কাজ না করেই বেতন ভাতা বাবদ প্রায় ১২ লাখ টাকা উত্তোলন করছেন। ২০০৫ সাল থেকে রেলকতৃপক্ষ মেরিন বিভাগ যাত্রীবাহী ফেরী চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় ভাসমান টাগ বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। অথচ তখন থেকেই এর সাথে জরিত মেরিন সুপার ও মেরিন ইন্সপেক্টর (এমআই) সহ প্রায় দেড়’শ কর্মকর্তা কর্মচারী বসে থেকেই বেতনভাতা উত্তোলন করেছে। যা রেলওয়ের অযথা ব্যয়। রেলওয়ে রুটটি চালুর জন্য বেশ কিছুদিন থেকে বোনারপাড়া জংশন এলাকার সচেতন যাত্রীরা দাবি জানিয়ে আসছেন। এ দাবিতে স্থানীয় লোকজন একটি নাগরিক কমিটিও গঠন করেছেন।

এ ব্যাপারে কথা হলে বোনারপাড়ার নাগরিক কমিটির নেতা আবুল কালাম আজাদ বলেন, অযথাই রুটটি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এ রুটটি আবারও চালু করা হোক। এতে দীর্ঘ ৩টি উপজেলার মানুষ উপকৃত হবে বলেও মত পোষণ করেন তিনি। বোনারপাড়া রেলওয়ে জংশন ষ্টেশন মাষ্টার স ম আকবর হোসেন জানান, এসবই রেল কর্তৃপক্ষের ব্যাপার। স্থানীয়ভাবে কিছু করার নেই।

প্রতিক্ষণ/এডি/এআরকে

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G