অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর হচ্ছে ব্রিটেন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ব্রিটেনে অবৈধ অভিবাসীদের খুঁজে বের করতে পুরোপুরি হার্ডলাইনে এখন ব্রিটিশ সরকার। অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তারে আগে যেখানে শুধু রেস্টুরেন্টে সাড়াশি অভিযান চলতো, এখন অতর্কিতভাবে এই অভিযান চলছে ব্যস্ততম রেল স্টেশন ও বাসা বাড়িতেও। ব্রিটিশ হোম অফিসের এই টার্গেট এখন বাংলাদেশি অধ্যুষিত পূর্ব লন্ডন। গ্রেপ্তারের পর অবৈধ অভিবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে ৫০ কোটি পাউন্ডের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে সরকার। তাই বেশ আতঙ্কে রয়েছে পুরো বাংলাদেশি কমিউনিটি।
ভোর সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রতিদিনই অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তারে তৎপর ব্রিটিশ হোম অফিস। অঘোষিতভাবেই এই অভিযানের অন্যতম প্রধান টার্গেট হচ্ছে বাংলাদেশি অধ্যুষিত পূর্ব লন্ডন।
রেস্টুরেন্ট থেকে শুরু করে ছোটখাটো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বাদ যাচ্ছে না অভিযানের তালিকা থেকে। এমনকি অবৈধ অভিবাসীদের অবস্থান শনাক্ত করে গভীর রাতে বাসাতে এবং দিনের বেলায় রাস্তাঘাটেও এই অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ফলে এক ধরণের আতঙ্কে রয়েছে পূর্ব লন্ডনে বসবাসরত বাংলাদেশিরা।
ব্রিটেনে অবস্থানরত হাজার হাজার অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তারের পর বিমান ভাড়া করে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে ৫০ কোটি পাউন্ডের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে সরকার। ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই অভিবাসী দমনকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে পুরোপুরি হার্ডলাইনে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন।
কোনো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিংবা অফিসে অবৈধ অভিবাসী গ্রেপ্তার হলে সে প্রতিষ্ঠানের মালিককে বাংলাদেশি অর্থে প্রায় ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এই কারণে অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগের ক্ষেত্রে অনেকটাই সতর্ক অবস্থানে মালিকপক্ষ।
বেশ কয়েক মাস আগেই পূর্ব লন্ডনের হোয়াইটচ্যাপেল ও এর আশেপাশের এলাকার অফিস ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে অবৈধ অভিবাসী নিয়োগ না করার জন্য সতর্কবার্তা সংবলিত লিফলেট বিতরণ করা হয়।
গত বছর ১২ হাজার ৬৪৫ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তারের পর জোরপূর্বক তাদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠায় ব্রিটিশ সরকার। তবে ২০১৪ সালের আগের দশ বছরে সর্বমোট ২১ হাজার অবৈধ অভিবাসীকে ফেরত পাঠিয়েছিল। আর এই পরিসংখ্যান থেকে সহজেই বুঝা যায় ব্রিটেন থেকে অবৈধ অভিবাসী দমনে দিন দিন বেশ কঠোর হচ্ছে কনজারভেটিভ সরকার প্রধান ডেভিড ক্যামেরন।
প্রতিক্ষণ/এডি/বিএ