আজ পাকিস্তানকে হারালে, হেরে যাবে ঐ হানাদাররা

প্রকাশঃ মার্চ ২, ২০১৬ সময়ঃ ৪:১৩ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১০:০৯ অপরাহ্ণ

শারমিন আকতার

Bangladesh-pro

পাকিস্তানের সাথে আজ বাংলাদেশের প্রথম খেলা। এশিয়া কাপে এটাই দুদলের প্রথম মুখোমুখি হওয়া। ‘হয় মারো নাহয় মর’ বর্তমান প্রতিযোগিতার বিশ্বে এখন এই একটি শ্লোগান স্নায়ুর প্রতিটি কোষে দু:স্বপ্নের মতো তাড়িয়ে বেড়ায় সর্বত্র সর্বলোকে। এর ব্যতিক্রম নিশ্চয় হবে না আমাদের দেশী টাইগারদের ক্ষেত্রেও।তারা দু:সাহসী নাবিকের মতো সিন্দু সেচে মুক্ত নয় তার চেয়ে দামী, মহামূল্যবান জয়মাল্য ছিনিয়ে নিয়ে আসবে বাংলার শহীদ বীরদের জন্য, আপামর জনসাধারণের জন্য, শহীদ পরিবারের জন্য। 

আজ জ্বলে উঠার পালা। তেজি ঘোড়ার মতো দুরন্ত গতিতে, শিকারী বাঘের মতো হন্তদন্ত হয়ে, ঈগলের মতো তীক্ষ্ণ চোখে, বিষাক্ত গোখরোর মতো ছোবল দিয়ে প্রতিপক্ষকে নিস্তেজ করে ফেলতে হবে। তাদের চোখের সামনে শুধু পরাজয়ের ঘোর অমানিষা। দেখবে তবুও কিছু করতে পারবে না ; বুঝবে কিছু বলতে পারবে না। এভাবেই আমরা তাদের কাছ থেকে শিকারী চিলের মতো ছোঁ মেরে বিজয়ের  বিজয়কেতন  উড়াবো। 

আজ ইতিহাসের সেই দিন যা আমরা কখনও ভুলে যেতে পারি না। আজ ২রা মার্চ, জাতীয় পতাকা দিবস। এমন দিনে চেনা শত্রুর মুখোমুখি আমাদের ক্রিকেটাররা। তারা কি মাঠে নেমে একথা মনে রাখতে পারবেন?

পারতে তো তাদের হবেই। এতো শুধু আর খেলা থাকছে না। ওদের সাথে আমাদের অনেক পুরোনো হিসাবনিকাশ আর বস্তাবন্দি লেনেদেনের খাতা খুলতে হবে। সুযোগটা এবার কাছে এসেছে।কোনোভাবে হেরাফেরা করার কোনোরকম সুযোগ নেই। এমন দিন, এমন সময়, এমন প্রতিপক্ষ কি সবসময় আমরা পাবো? তাই সময়ের কাজ সময়ে করে দেখাতে হবে। আজ যা গর্বের; কাল তা নিছক আনন্দেরও হতে পারে। তাই আজতো আজই। খেলা দেখাবার এ্ইতো সুযোগ!!

একবার ভাবুনতো মাশরাফি বাহিনী, ফেলে আসা সেই ২৫শে মার্চের কথা। রাতের অন্ধকারে কীভাবে আমাদের ঘুমন্ত মানুষগুলোকে বর্বরের মতো করে হত্যা করেছিল। দেখবেন , শক্তি আর মনোবল আপনার বুকের ভেতর সেই মানুষগুলোর আর্তনাদ থেকে পেয়ে গেছেন। বলছি না, এই পাক খেলোয়াড়রা সে কাজ করেছে। কিন্তু আজ পাকিস্তানকে হারাতে পারলে হেরে যাবে ঐ হানাদাররা। সামান্য হোক, তবুওতো পরাজয় বলে কথা। আমাদের ছেলেদের কাছে আজকের এই মার্চের উত্তাল দিনে হার মানতে বাধ্য হলে ; হয়ত আমাদের শহীদেরা কিছুটা শান্তি পাবে। তাদের স্বজনরাও সামান্য হলেও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারবে।

তাহলে হয়ে যাক লড়াই। শুরু হোক যুদ্ধের দামামা। ছাড়খার হয়ে যাক পাকিস্তানী শিবির। দুমড়ে-মুচড়ে হোঁছট খেতে খেতে গোহারা হারুক তারা। জয় হোক লাল-সবুজের পতাকার। আস্তাকুঁড়ে পড়ে থাক আমাদের পূর্ব জনমের অভিশপ্ত ভ্রাতাদের সাদা-সবুজ নিশান।

 

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G