আতঙ্কে গ্রীসের সাধারণ মানুষ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক, প্রতিক্ষণ ডটকম:
গ্রিসের সব ব্যাংক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ইউরোপিয়ান সেন্ট্রাল ব্যাংক গ্রীসকে জরুরী অর্থ সহায়তা বন্ধ করে দেবার সিদ্ধান্তের পর দেশটির সরকার এই ঘোষণা দিল।
আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে ব্যাংক বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি ব্যাংক লেনদেনের ওপর আরোপ হচ্ছে সরকারি নিয়ন্ত্রণ। গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপরাস এ তথ্য জানিয়েছেন।
অন্যদিকে মঙ্গলবার মধ্যরাতের মধ্যে গ্রীসকে আইএমএফের ১৭০ কোটি ডলার ঋণ শোধ করতে হবে।
মনে করা হচ্ছে গ্রীস এই অর্থ দিতে না পারলে ঋণখেলাপী হয়ে যাবে, এবং তাদের ইউরোজোন থেকেও বেরিয়ে যেতে হতে পারে।
ইউরোজোনের অর্থমন্ত্রীরা বলছেন, গ্রীসের উচিত হবে সোমবার দিনটিকে ব্যাংক হলিডে বা ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করা – যাতে অর্থখাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি না হয়।
ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হওয়া, ইউরোপীয় ইউনিয়ন নতুন করে অর্থ সাহায্য দিতে না চাওয়া এবং অর্থ পরিশোধের মেয়াদ না বাড়ানোয় ইউরোজোন থেকে বেরিয়ে যাওয়া ছাড়া গ্রিসের সামনে আর কোনো বিকল্প নেই।
সাপ্তাহিক ছুটির দিন রোববার গ্রিসে কার্ড ব্যবহার করে অর্থ উত্তোলনের জন্য দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে গ্রিকরা। একই সময় নিয়ন্ত্রণ আরোপের কাজ করায় অর্থ উত্তোলনে ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের।
৭ জুলাই পর্যন্ত ব্যাংক বন্ধ থাকবে। বিদেশি ঋণদাতাদের দেওয়া অর্থ গ্রিস নেবে কি নেবে না, এ-সংক্রান্ত গণভোট অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুলাই। ৭ জুলাই ঋণসংকট নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে যাবে গ্রিস। হয়তো এ দিনই ইউরোজোনে থাকা না-থাকা নিয়ে স্পষ্ট ঘোষণ দেবে দেশটি।
ক্যাপিটাল কন্ট্রোল
ক্যাপিটাল কন্ট্রোল অর্থাৎ ব্যাংক লেনদেনের ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ হলে প্রতিদিন একজন ৬০ ইউরোর বেশি অর্থ উত্তোলন করতে পারবে না। বিদেশি অর্থ লেনদেন (ফরেন এক্সচেঞ্জ) বন্ধ থাকবে। তবে অনুমতি সাপেক্ষে শুধু জরুরি প্রয়োজনে এবং আগে থেকে অনুমোদিত অর্থ উত্তোলন করা যাবে।
সূত্র: বিবিসি
প্রতিক্ষণ/এডি/ফাহিম