আনারস চাষ পদ্ধতি
ডেস্ক রিপোর্ট, প্রতিক্ষণ ডট কম:
আনারস একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর সুস্বাদু ও স্বল্পমেয়াদি ফল। আমাদের দেশে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাজা ফল হিসেবে আনারস খাওয়া হয়। তবে বিভিন্ন ধরনের প্রক্রিয়াজাতকৃত খাবার (জুস, জ্যাম, জেলি ইত্যাদি) তৈরির কাজে ব্যবহৃত হওয়ার কারণে পৃথিবীর সর্বত্রই আনারসের একটি বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। বাণিজ্যিক ফল হিসেবেও আন্তর্জাতিক বাজারে আনারসের গুরুত্ব অনেক। তাই ইচ্ছা করলে আপনিও আনারস চাষের মাধ্যমে খুব সহজে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেন। আসুন জেনে নেই আনারস চাষ পদ্ধতিঃ
জমি তৈরি
পাহাড়ের ঢালে আনারসের চাষ করার জন্য কোনক্রমেই জমি চাষ দিয়ে বা কোদাল দিয়ে কুপিয়ে আলগা করা উচিত নয়। এতে ভূমিক্ষয়ের মাধ্যমে উর্বর মাটি ধুয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। শুধু পাহাড়ের জঙ্গল বা আগাছা মাটির স্তরে কেটে পরিষ্কার করে জমি চারা রোপণের উপযোগী করে তুলতে হবে।
চারা নির্বাচন ও তৈরি
আনারস গাছের বংশবিস্তার অযৌন পদ্ধতিতেই করা যায়। আনারস গাছে সাধারণত পাঁচ ধরনের চারা উৎপন্ন হয়ে থাকে – পার্শ¦ চারা, বোঁটার চারা, মুকুট চারা, গোড়ার চারা বা ট্যাম্প। সব ধরনের চারাই রোপণ করা যায়, তবে পার্শ্ব চারা ও গোড়ার চারাই উত্তম।
রোপণ পদ্ধতি
পাহাড়ের ঢালে আনারস চাষের জন্য কন্টুর পদ্ধতি বা সমউচ্চতা বরাবর ঢালের বিপরীতে আড়াআড়ি ভাবে জোড়া সারি করে চারা রোপণ করা হয়ে থাকে। কখনো ঢাল বরাবর সারিতে চারা রোপণ করা উচিত নয়। এতে ভূমিক্ষয় বৃদ্ধি পায়। পাহাড়ের ঢালে জোড়া সারিতে সারি থেকে সারির দূরত্ব ৪০ সে: মি: ও চারা থেকে চারার দূরত্ব ২০-২৫ সে: মি: দেয়া উচিত। এতে হেক্টরপ্রতি ৫০ হাজার বা কানি প্রতি (৪০ শতাংশ) ৮ হাজার চারা প্রয়োজন। নির্ধারিত স্থানে চারা রোপণের পর গোড়া ভালোভাবে চেপে দেয়া উচিত।
পরিচর্যা
পাহাড়ের ঢালে আগাছা বেশি হয় বলে আগাছা বেড়ে উঠার আগেই দমন করা উচিত। জোড়া সারির মাঝখানে আস্তরণ দিয়ে আগাছা দমন করা সহজ হয়। এছাড়া আস্তরণ ব্যবহার করলে আরো যে উপকার পাওয়া যায় তা হলো-
১। মাটির ক্ষয় কম হয়,
২। শুকনো মৌসুমে মাটিতে আর্দ্রতা সংরক্ষণ হয়,
৩। পচে জৈব সার যুক্ত হয় ফলে উর্বরতা বৃদ্ধি পায়।