আবর্জনা পরিণত হচ্ছে সম্পদে ( শেষ পর্ব)
নিজস্ব প্রতিবেদক
সুষ্ঠ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে দেশের সকল আবর্জনকে সম্পদের পরিণত করা যাবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এরইমধ্যে আবজর্না থেকে জৈব সার তৈরি করে বাজারজাতকরণের মাধ্যমে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মহলের নজর কেড়েছেন বাংলাদেশি স্থপতি মাকসুদ সিনহা। বর্তমানে এশিয়ার ৪টি দেশে তার এই প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা করছে ইউএনডিপি।
নগর পরিকল্পনাবিদ খন্দকার এম আনসার হোসেন বলেন, আবর্জনাকে রিসাইক্লেং এর মাধ্যমে সার বানানো সম্ভব। এছাড়াও ঔষধের যে খোসা বিদেশ থেকে আনা হয় তা যদি আমরা দেশেই করতে পারি তাহলে সেটা দেশের জন্যও ভাল।
বিশেষজ্ঞদের প্রস্তাবনা, প্রতিটি বিল্ডিংয়ের সামনে জৈব ও অজৈব বর্জ্য রাখার ঢাকনাযুক্ত তিনটি পাত্র থাকবে। সিটি কর্পোরেশনের গাড়ি এসে পাত্র তিনটি নিয়ে, নতুন তিনটি খালি পাত্র রেখে যাবে। এরপর কর্পোরেশনের গাড়ি চলে যাবে সেকেন্ডারি স্টেশনে। সেখান থেকে প্লাষ্টিকের মতো অজৈব বর্জ্য পাঠানো হবে সংশ্লিষ্ট কারখানায়, আর জৈব বর্জ্য যাবে আরেকটি কারখানায়। রিসাইক্লিং হয়ে অজৈব বর্জ্য হবে পূনঃব্যবহারযোগ্য, আর জৈব বর্জ্য থেকে প্রস্তুত জৈব সার ব্যবহৃত কৃষি জমিতে। ফলে আবর্জনা বলে থাকবেনা কিছুই।
নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, যদি সঠিক সময়ে আর সিগন্যালের মাধ্যমে অবর্জনা শহরের বাইরে কারখানায় নিয়ে যাওয়া যায় তবে পরিবেশও ভাল থাকবে আর আবর্জনাটাও সঠিকভাবে কাজে লাগানো যাবে।
এদিকে আবর্জনাকে সম্পদে রূপান্তর করার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থপতি বাংলাদেশের মাকসুদ সিনহা। এরইমধ্যে আবর্জনা হতে জৈব সার তৈরি করে কৃষি জমিতে ব্যবহারের জন্য বাজারজাত করছেন তিনি।
প্রতি ১ টন আবর্জনা জৈব সারে রূপান্তর করায় বায়ুমন্ডল থেকে যেমন কমছে আধাটন কার্বন, তেমনি জমিতে রাসায়নিক সারের ব্যবহারও কমছে প্রায় ৩০ ভাগ। আর এর বিনিময়ে বৈশ্বিক জলবায়ু তহবিল থেকেও আয় হচ্ছে ডলার।সম্প্রতি মাকসুদ সিনহা’র এমন সফলতা নিয়ে রিপোর্ট করেছে সিএনএন।
বিশ্বে প্রথমবারের মতো জৈব বর্জের এমন ব্যবস্থাপনার এই উদ্ভাবনী পদ্ধতি, ৪টি দেশে বাস্তবায়নে সহায়তা দিচ্ছে ইউএনডিপি।
এবিষয়ে ওয়েস্ট কনসার্ন এর প্রতিষ্ঠাতা মাকসুদ সিনহা বলেন, এক টন বর্জ থেকে সার তৈরির মাধ্যমে আমরা গ্রীন হাউজ প্রতিক্রীয়া কমাচ্ছি। এটা আমদের বাংলাদেশের করা।
বাংলাদেশের সরকার চাইলে যেকোন ধরনের সাহায্য দিতেও রাজি আছেন এই বাংলাদেশি এই স্থপতি বলেও জানান তিনি।
https://www.youtube.com/watch?v=6rTRON69_PI&feature=youtu.be
প্রতিক্ষণ/এডি/এনজে