প্রথম প্রকাশঃ মে ৭, ২০১৫ সময়ঃ ৭:৩৩ অপরাহ্ণ..
সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৯:৫৮ অপরাহ্ণ
শারমিন আকতার :
আমি ভুত, তবে দুষ্টুনা, মিষ্টি ভুত । আমার ছোট ভায়ের নাম মিস্টার তুত। ছোট হলে কি হবে ও হল দুষ্টু ভুত। দেখুননা কী সুন্দর করে নিজের নামের আগে কোথা থেকে যেন মিস্টার শব্দটা আমদানি করেছে। ইদানিং কোথায় কোথায় ঘুরে বেড়ায় কিছুই বুঝিনা। নাম বলতেই দেখি হাজির হয়ে যায় !! ধরবো সে উপায়তো নাই। আমাদের রাজ্যের নাম হাউ মাউ ভুত।কেমন হাস্যকর নাম তাইনা? আমারও হাসি পাই। আরও শুনবেন, আমাদের স্কুলের নাম ‘ভুঁতং শিঁক্ষং’। হাসতে হাসতে আমারতো দম বন্ধ হওয়ার মতো অবস্থা।
আমার বন্ধু ফাতিনও সে কথায় বলে।ও, ফাতিন আমার মানুষ বন্ধু !!মানে ভুতের বাচ্চার সাথে মানুষের বাচ্চার বন্ধুত্ব আরকি !!!
ফাতিন আমার খুব ভালো বন্ধু। আমি প্রায় সময় ওর সাথে সময় কাটাই। কত কিছু শিখি। আমাদের ভুতরাতো সব ফাজিল, এটা আমার কথা না ফাতিন বলেছে। ওকে নাকি অনেকবার ভয় দেখিয়েছে।
কত্ত বড় সাহস, ভুতের বন্ধুকে কিনা ভুতেরাই ভয় দেখায় !!! একটা মজার কথা শুনুন, ফাতিনকে আমি আমাদের একটি ছড়া শুনিয়েছিলাম। সে কী খুশি।
“শুশং শুশং তেঁতুলিয়াঁ, খুঁশং খুঁশং আঁতালিঁয়া
ভয়তং মসংতং পাহ:, ছা ঝা ঝা ঝাহ:
কিলিং বিলিং কিংকিং, চারতং চাহ
উঁইশা উঁউশা হাহ:, পতং পত্যং পতত্যা
লি লি লি হা হা হা।।।”
কী কেমন লাগলো আমাদের ভুতুরে কবিতা? ভালো বলবেন কীভাবে ? মজার ব্যাপার হল আমার বন্ধু ফাতিনআপনাদের ভাষাটা শিখিয়ে দিয়েছে। আবার ফেইসবুক আইডিও খুলে দিয়েছে। আস্তে আস্তে সব ভুত বন্ধুদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেব। আবার ভয় পাবেন নাতো? আপনারা নাকি ভুতের নাম দিয়ে বানানো মিথ্যা ভুতুরে ছবি দেখতে মজা পান।
কিন্তু সত্যিকারের ভুত দেখলে কেন চিৎকার করেন? খুব অপমান লাগে!!!
আমাদেরকেই দেখতে চান আবার আমরা দেখা দিলে ভয় পান!!! ভুঁতশ্যং অদভুতং । মানে ভুতের সঙ্গে থাকলে ভয় যাবেন ভুলে। এই যাচ্ছি বাবা ডাকছে পরে বাকিটা বলব। শঁতশং( সাথে থাকুন)।