আসুন গাছ লাগাই
প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ
কী ভ্যাপসা গরমই না পড়েছে এবার! আমাদের সবার মুখেই একই কথা এবং আমরা সবাই এই গরমে এক রকম অতিষ্ঠ। বাস্তবতা হচ্ছে, গত কয়েক বছর ধরেই আমাদের দেশে অস্বাভাবিক গরম পড়ছে, যদিও ঋতু পরিবর্তনের চক্রে শীত এলে আমরা এই গরমটার কথা ভুলে যাই। কিন্তু প্রতিবছরই গ্রীষ্ম তার ভয়াল রূপ নিয়ে ফিরে আসে।
এই অস্বাভাবিক গরমের কারণ যে গ্রীন হাউজ ইফেক্ট তা বিজ্ঞানীরা অনেক আগেই নিশ্চিত হয়েছেন। আর গ্রীন হাউস ইফেক্ট থেকে পৃথিবী রক্ষায় এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় যা সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ অবদান রাখে তা হচ্ছে গাছপালা। গাছ হতেই আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পাই, গাছ তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দূর্যোগ থেকেও রক্ষা করে গাছ।
এমন গুরুত্বপূর্ণ যে গাছ, তার পরিমাণ ঢাকাসহ বাংলাদেশে দিনে দিনে আশংকাজনক হারে কমছে। একটি দেশের মোট আয়তনের ২৫% যেখানে বনভুমি থাকা প্রয়োজন সেখানে সমগ্র বাংলাদেশের মোট আয়তনের মাত্র ৯% বনভূমি রয়েছে। ঢাকার একক কোন পরিসংখ্যান না পাওয়া গেলেও ঢাকার অবস্থা দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে খারাপ বলেই মনে হয়।
কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ যদি টিকে থাকতে চায়, বেঁচে থাকতে চায় ভালোভাবে; তাহলে তাদেরকেই এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণের উপায় খুঁজে বের করতে হবে। আর এ অস্বস্তিকর অবস্থা থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হচ্ছে গাছ লাগানো। আসুন, আমরা সেই পুরনো স্লোগানটি মনে করি। যদি ১টি গাছ কাটি তাহলে দুটি গাছ লাগাবো। আসলে গাছ লাগানোর কোন বিকল্প নেই। সরকারি উদ্যোগ তো অবশ্যই প্রয়োজন, আমাদের সবাইকেও নিজেদের উদ্যোগে গাছ লাগাতে হবে। যেখানে কোন খোলা জায়গা পাওয়া যাবে, সেখানেই গাছ লাগানোর চেষ্টা করতে হবে। আর তা না পাওয়া গেলে অন্তত বাড়ির ছাদে, বারান্দার টবে হলেও গাছ লাগাতে হবে।
এমনকি পবিত্র ইসলাম ধর্মেও গাছ লাগানোকে সওয়াবের কাজ হিসেবে উল্লেখ করে হয়েছে এবং বৃক্ষরোপণকে সদকায়ে জারিয়া বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
তাই আসুন, আমরা গাছ লাগাই। নিজেদের স্বার্থে, দেশ ও পরিবেশের স্বার্থে অনেক অনেক গাছ লাগানোর কোন বিকল্প নেই।
প্রতিক্ষণ/এডি/সাদিয়া