আয়োজন করেই কেক কাটলেন খালেদা জিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক
আগের বছরগুলোর মতো এবার মধ্যরাতে জন্মদিনের কেক না কাটলেও বেশ ধুমধাম করেই অবশেষে নিজের জন্মদিন উদযাপন করলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। শনিবার রাত ৯টা ১৫ মিনিটি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি, যুবদল, ঢাকা মহানগর বিএনপি ও ছাত্রদল আয়োজিত অনুষ্ঠানে নিজের ৭০তম জন্মদিনের কেক কাটেন বেগম জিয়া।
খালেদা জিয়ার জন্মদিনকে ঘিরে শুক্রবার বিকেল থেকেই গুলশানে তার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ছিল সাজ সাজ রব। বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা ফুল হাতে আসছিলেন জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে দলীয় প্রধানকে শুভেচ্ছা জানাতে। এ উপলক্ষে সাজানো হয়েছিল গুলশান কার্যালয়ও। করা হয় আলোকসজ্জাও।
জন্মদিন উপলক্ষে মোট চারটি কেক কেটেছেন ৭০-এ পা রাখা খালেদা জিয়া। চারটি কেকের দুটি আনা হয় বিএনপির পক্ষ থেকে, একটি ছাত্রদলের ও একটি যুবদলের পক্ষ থেকে। যুবদলের কেকটি ৭০ কেজির, বাকিগুলো ৭০ পাউন্ডের।
জন্মদিনের কেক কাটার আগে তার মঙ্গল কামনায় দোয়া পড়া হয়। দোয়া পরিচালনা করেন ওলামা দলের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ নেসারুল হক।
বেগম জিয়া মূলত নব্বই দশকের মাঝামাঝি থেকে এই দিনটিতে ঘটা করে জন্মদিন উদযাপন করে আসছেন। তবে অন্যান্য বছরে সাধারণত প্রথম প্রহরেই কেক কাটা হলেও এবার তার ব্যতিক্রম দেখা গেল।
বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকীতে বিএনপি প্রধানের জন্মদিন উদযাপন নিয়ে সমালোচনা রয়েছে বিভিন্ন মহল থেকে।
অন্যান্য বার বেগম জিয়া রাতে কেক কাটলেও এবার কেন কাটলেন না? সন্ধ্যায় দলের সহ-দপ্তর সম্পাদক শামীমুর রহমানের সামনে এমন প্রশ্ন রাখা হলে তিনি জবাব দেন, ‘বেগম জিয়া কখনোই ব্যক্তিগতভাবে বা পারিবারিকভাবে তার জন্মদিন উদযাপন করেন না। তিনি মূলত দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গেই জন্মদিন উদযাপন করেন। এ কারণেই রাতে তিনি কেক কাটেননি।’
খালেদা জিয়ার কেক কাটার এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, জমির উদ্দিন সরকার, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, বেগম সেলিমা রহমান, যুগ্ম-মহাসচিব ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ওলামা দলের দলের সভাপতি মাওলানা আব্দুল মালেক, তাঁতী দলের সভাপতি আবুল কালাম আযাদ প্রমুখ।
১৫ আগস্টে খালেদা জিয়ার জন্মদিন পালনের উপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে এ মাসেই একটি নালিশি মামলা করা হয় বরিশালে। পরে অবশ্য মামলাটি খারিজ করে দেন আদালত। আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকেও বারবার তাকে আহ্বান জানানো হয়েছে এ দিনে জন্মদিন উদযাপন না করতে। ক্ষমতাসীন দলটির সাধারণ সম্পাদক বেগম জিয়াকে ১৬ বা ১৭ আগস্ট জন্মদিন উদযাপনের আহবান জানিয়েছিলেন
প্রতিক্ষণ/এডি/তাফসির