ইসলামী ব্যাংকের ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

প্রকাশঃ মার্চ ৩০, ২০১৬ সময়ঃ ৭:২৬ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৭:৩৭ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্ক

islami bankইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এর ৩৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রীতি সম্মিলনী ও আলোচনা সভা বুধবার ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারের মোহাম্মদ ইউনুছ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাংকের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মুস্তাফা আনোয়ার এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ব্যাংকের পাঁচটি নতুন প্রোডাক্ট ও একটি মোবাইল অ্যাপস উদ্বোধন করা হয়। সকল শাখা ও জোন কার্যালয়ে শুভেচ্ছা বিনিময়, আলোচনা ও দুআ মাহফিল  অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৮৩ সালের ৩০ মার্চ দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম ইসলামী ব্যাংক হিসেবে যাত্রা শুরু করে এ ব্যাংক।

ইঞ্জিনিয়ার মুস্তাফা আনোয়ার প্রধান অতিথির ভাষণে বলেন, ‘ইসলামী ব্যাংক ৩৩ বছর ধরে জনকল্যাণ ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করে আসছে। বর্তমানে ইসলামী ব্যাংক কোটি গ্রাহকের ব্যাংক; যা বিশ্বের মোট ইসলামী ব্যাংকিং গ্রাহকের এক-চতুর্থাংশ’।
তিনি বলেন, ‘তৈরি পোশাকশিল্প ও রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতির দুইটি প্রধান স্তম্ভ। এ দুই খাতে ইসলামী ব্যাংকের মার্কেট শেয়ার যথাক্রমে ২১ ও ২৬ শতাংশ। বাংলাদেশের শিল্পায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে ইসলামী ব্যাংক। চার হাজার শিল্প কারখানা পরিচালিত হচ্ছে এ ব্যাংকের অর্থায়নে। ইসলামী ব্যাংকের মোট বিনিয়োগের প্রায় অর্ধেকই শিল্পখাতে। স্পিনিং শিল্পে এ ব্যাংকের মার্কেট শেয়ার এক-চতুর্থাংশ এবং লৌহ ও ইস্পাত শিল্পে ২১ শতাংশ’।
ইসলামী ব্যাংকের প্রতি আস্থা ও ভালবাসার কারণে তিনি গ্রাহক, স্টেকহোল্ডার ও শুভানুধ্যায়ীসহ দেশের মানুষের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

ইঞ্জিনিয়ার মো. ইসকান্দার আলী খান বিশেষ অতিথির ভাষণে বলেন,‘ইসলামী ব্যাংক দেশের শীর্ষ আমদানি-রফতানিকারক ব্যাংক, যার মার্কেট শেয়ার যথাক্রমে ১১% ও ১০%। এসএমই খাতে এ ব্যাংকের বিনিযোগগ্রহীতা ৬ লাখ যার সাড়ে ৪ লাখই নারী উদ্যোক্তা। তিনি বলেন, দেশের মোট এসএমই বিনিয়োগের ১৬ শতাংশই ইসলামী ব্যাংকের। আবাসন খাতের ব্যাংকটির মার্কেট শেয়ার ১২%, যা ২৫ লাখ লোকের আবাসন নিশ্চিত করেছে। পরিবহন খাতে ব্যাংকের মার্কেট শেয়ার ১৪% যার সুবিধাভোগী ২ কোটি মানুষ।
মোহাম্মদ আবদুল মান্নান সভাপতির ভাষণে বলেন, ক্ষুদ্র বিনিয়োগের মাধ্যমে ১৯ হাজার গ্রামের ১০ লাখ প্রান্তিক মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে ইসলামী ব্যাংক। যার সুবিধাভোগী ৮০ শতাংশই নারী। তিনি বলেন, বিশ্বের মোট ইসলামিক মাইক্রোফাইনান্সের ৫০ শতাংশ এককভাবে পরিচালিত হচ্ছে এ ব্যাংকের মাধ্যমে। তিনি বলেন, ইসলামী ব্যাংক শরীআহর পদ্ধতি অনুসরণের সাথে সাথে শরীআহর মাকাসিদ বা লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করছে। তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালে আইডিবি সনদে সাক্ষরের সূত্র ধরে বাংলাদেশ সরকার, দেশীয় উদ্যোক্তা ও আন্তর্জার্তিক কিছু প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে ১৯৮৩ সালে এ ব্যাংক যাত্রা শুরু করে যা আজ বিশ্বসেরা হাজার ব্যাংকের তালিকায় বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাংক হিসেবে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে।

ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মো. ইসকান্দার আলী খান, ডিরেক্টর মো. আবুল হোসেন, স্পন্সর জাকিউদ্দিন আহমেদ ও ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ দাউদ খান, সাবেক প্রধান নির্বাহী এম আযীযুল হক, এম কামাল উদ্দিন চৌধুরী ও এম ফরিদ উদ্দিন আহমেদসহ ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও উর্ধ্বতন নির্বাহীবৃন্দ। ব্যাংকের বর্তমান ও সাবেক নির্বাহীগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

========

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

December 2025
SSMTWTF
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031 
20G