উত্তর কোরিয়া ৪টি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে

প্রকাশঃ নভেম্বর ৬, ২০২২ সময়ঃ ১২:৩৩ পূর্বাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১২:৩৩ পূর্বাহ্ণ

আন্তর্জাতিকে ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া সামরিক মহড়া চালিয়ে যাবার কারণে উত্তর কোরিয়া শনিবার চারটি স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এ সপ্তাহের শুরুতে পাল্টা-পাল্টি ক্ষেপণাস্ত্র ছাড়ারপর  পিয়ংইয়ংয়ের ৪টি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপন করার বিষয়টি অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া হিসেবে দেখছে বিশ্ব পর্যবেক্ষকরা।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ক্ষেপণাস্ত্রগুলি প্রায় ১৩০ কিলোমিটার উড়েছিল এবং পশ্চিম সাগরে প্রায় ২০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছেছিল। উত্তর কোরিয়া বুধবার থেকে ৩০টি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করেছে। যার মধ্যে কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানে সতর্কতা এবং জরুরি আশ্রয়ের আদেশ জারি করা হয়।

ব্যারেজটিতে বৃহস্পতিবার একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করা হয়। যা উড্ডয়নের সময় ব্যর্থ হয়েছে বলে জানা গেছে কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা অব্যাহত থাকায় সীমান্তের কাছে ১৮০টি উত্তর কোরিয়ার সামরিক ফ্লাইট সনাক্ত করার পর দক্ষিণ কোরিয়া শুক্রবার যুদ্ধ বিমান গুলিকে প্রস্তুত করেছে।

শনিবারের মার্কিন-দক্ষিণ কোরিয়ার বিমান মহড়ায় দুটি মার্কিন বি-১বি কৌশলগত বোমারু বিমানের অংশগ্রহণ করে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, আলবেনিয়া, ফ্রান্স, আয়ারল্যান্ড এবং নরওয়ের অনুরোধে শুক্রবার উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ নিয়ে আলোচনার জন্য জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ বৈঠক করেছে।

নিরাপত্তা পরিষদের ১০টি অস্থায়ী সদস্য ভারত, ব্রাজিল এবং মেক্সিকো একটি যৌথ বিবৃতিতে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের নিন্দা করেছে। জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত লিন্ডা থমাস-গ্রিনফিল্ড এই বছর উত্তর কোরিয়ার ৫৯টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণকে “ভয়াবহ” বলে অভিহিত করেছেন। সেটা হয়েছে চীন ও রাশিয়ার বিরোধিতার কারণে। এমনকি পিয়ংইয়ংয়ের ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার আহ্বান জানিয়েছে চীন। উভয় দেশই কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে মার্কিন-দক্ষিণ কোরিয়ার যৌথ সামরিক মহড়ার দিকে ইঙ্গিত করেছে।

চীনের রাষ্ট্রদূত শুক্রবার ওয়াশিংটনকে “একতরফাভাবে উত্তেজনা এবং সংঘর্ষের খেলা” বন্ধ করতে এবং উত্তর কোরিয়ার “বৈধ ও যুক্তিসঙ্গত উদ্বেগের” প্রতিক্রিয়া জানিয়ে তার আন্তরিকতা প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন। কোরীয় উপদ্বীপ ইস্যুতে, নিরাপত্তা পরিষদের সবসময় চাপের ওপর জোর না দিয়ে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করা উচিত।”

রাশিয়াও যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে উত্তেজনা ছড়ানোর অভিযোগ করেছে।

সূত্র : ভয়েজ অব আমেরিকা

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

20G