শিক্ষকের বদলির খবরে জ্ঞান হারালো ১৬ শিক্ষার্থী!
ফিচার ডেস্ক
শিক্ষার্থীদের মানুষ করাই তাঁর একমাত্র আরাধ্য। তিনি যেন ছাত্রছাত্রী ও সহকর্মীদের আত্মার আত্মীয়। আত্মত্যাগ আর আন্তরিকতার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছেন তিনি। এমনি একজন মহান মানুষ আলহাজ্ব মো.মতিনুল হক। নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার বাঁশবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে পাঁচ বছর ধরে কর্মরত রয়েছেন তিনি।
গত ৩০ মার্চ হঠাৎ করেই রাজশাহী বিভাগীয় শিক্ষা অফিসের বিভাগীয় উপ-পরিচালক আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত একটি চিঠি আসে বাঁশবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। যেটি ছিল শিক্ষক মতিনুল হককে পাশ্ববর্তী জিগরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বদলি করার আদেশ ।
উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে আসা আদেশের ওই কপিটি প্রধান শিক্ষক মতিনুল নিজের কাছে রেখে দেন। পরের দিন বুধবার দুপুর ১২ টায় জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় শিক্ষার্থীদের কাছে প্রধান শিক্ষক তার বদলির খবরটি জানান।
প্রিয় শিক্ষকের মুখে বিদায়ের সুর শুনে কান্নায় ভেঙে পড়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। একের পর এক জ্ঞান হারায় ১৬ জন শিক্ষার্থী।
জ্ঞান হারানো শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছিল তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণীর বিথি, রত্মা, আইরিন, ফরিদা, সাব্বির, ইসরাফিল, মোত্তাকিন মহুয়া, রানী, মীম, আহানাফ, আলকাফি, আফরাজুল, মাসুম, নাজাত, সোনিয়া নামের ছোট ছোট শিক্ষার্থী।
অভিভাবকদের মতে, ‘একজন শিক্ষকের বদলির খবরে শিক্ষার্থীদের এমন দশা সত্যিই বিরল। কি পরিমাণ ভালোবাসা পেলে এমন চিত্র দেখা যায় তা সহজেই অনুমেয়’। তারা বলেন, বর্তমানে এমন বিরল শিক্ষক দেখা যায়না। বর্তমানে শিক্ষক নামের অপেশাদার ব্যক্তিদের কারণে এ পেশাটিও এখন অবহেলিত। স্রোতের বিপরীতে মতিনুল একটি আদর্শ নাম।’ এ ধরনের শিক্ষকরাই পারে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের তৈরি করতে। জয়তু মতিনুল।
প্রতিক্ষণ/এডি/এআই