একাকী বৃদ্ধার ছোট্ট বাসা
প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ
এম. জে. বয়লের ছোট্ট বাড়ির জার্নিটা একদমই আলাদা, আর কারো মতো নয়।
নিজের ব্লগ “মাই এম্পটি নেস্ট” বা আমার শূন্য বাসায় লেখা এক হৃদয়স্পর্শী চিঠিতে বয়লে বলেছেন তার ছোট বাসার গল্প। বলেছেন ছোট বলতে আসলেই তার কাছে কী বোঝায়। তার দুই সন্তান যখন বড় হয়ে মাকে ছেড়ে চলে যায়, তখন তিনি পুরনো বাড়ি ত্যাগ করে নিজের এই ছোট্ট বাসা তৈরি করেন।
বয়লে নিজের ব্লগে লেখেন, “প্রিয় ছোট্ট বাসা — গত ১৫ মাস ধরে আমি আমার সকল অবসর সময়, টাকা এবং আবেগীয় শক্তির প্রতিটি কণা তোমার উপর ঢেলে দিয়েছি এবং এখন তুমি তৈরি।”
চলুন ঘুরে দেখি, বয়লের এই ছোট্ট বাসাটিকে।
বাসার প্রবেশদ্বারে আমরা আরামদায়ক বসার জায়গা দেখতে পাবো। মজার ব্যাপার হচ্ছে, মাত্র ২০০ স্কয়ার ফুট জায়গা নিয়ে এই মাস্টারপিস বাসাটি তৈরি করা হয়েছে। রান্নাঘরটি কিছুটা গ্রাম্য। সেখানে ওয়াইন এবং ম্যাসন জার রাখার জন্য বাড়তি জায়গা আছে।
বয়লে ভালোবেসে হস্তশিল্প দ্বারা নিজের সজ্জিত করেছেন। এই ঘরের প্রত্যেকটা খুটিনাটির অর্থ রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ কিচেন সিংকের উপর লেখা উক্তিটি দেখুন। ফরমায়েশী বিবরণ এবং স্মৃতি রয়েছে ঘরটির সবখানে। এই বিবরণ এমনকি কোট র্যাকের উপরও পাওয়া যায়। আর কাস্টম স্টোরেজ সিঁড়িটি আমাদের বাসার চিলেকোঠায় নিয়ে যায়।
সেখানে কখনো কখনো বয়লে কম্বল জড়িয়ে ভালো কোন বই উপভোগ করেন। যখন বয়লে তার ছোট এই বাসাটির নামকরণ করেন “মাই এম্পটি নেস্ট” হিসেবে, তখন তা মূলতঃ তার জীবন পরিস্থিতিকে মাথায় রেখেই করেছিলেন।
সবশেষে জীবন সায়াহ্নে পৌঁছে যাওয়া এই একাকী বৃদ্ধা নিজের ছোট্ট বাসার প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে তার ব্লগের সমাপ্তি টানেন এইভাবে – তুমি আমাকে এটা দেখতে সাহায্য করেছো যে আমার সন্তানরা যেখানেই থাকুক না কেন, আর এমনকি আমিই যদি তোমার একমাত্র বাসিন্দা হই না কেন, তুমি কখনোই সত্যিকার অর্থে শুন্য হবে না।
প্রতিক্ষণ/এডি/সাদিয়া
=====